সপ্তাহ দুয়েক ধরে দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ফলে করোনা (কোভিড-১৯) রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল ও শয্যা সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার চাপও। এর মধ্যে পরীক্ষার কেন্দ্র বেড়েছে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পরীক্ষা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার সামান্য কম ছিল। এরপরও বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার জন্য আগের রাত থেকে লাইন ধরার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। ঈদের ছুটিতে বেসরকারি কিছু কিছু পরীক্ষাকেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে। তাতে পরীক্ষার চাপ একটু বাড়তে পারে।
গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৮ জন। দেশের মোট করোনা শনাক্তের ৪৩ শতাংশই রাজধানীতে। এখন পর্যন্ত রাজধানীতে শুধু করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকার ১৩টি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬টি বেসরকারি হাসপাতাল। এর বাইরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অংশে এবং বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্মিত অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকায় করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল ১৩টি। ৭টিতে উপসর্গ নিয়ে গেলে বহির্বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। ৪টিতে বহির্বিভাগ নেই।
এই ১৩টি হাসপাতালের মধ্যে বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা হচ্ছে। অন্য হাসপাতালগুলোর মধ্যে ৪টিতে কেবল করোনা পজিটিভ হয়েছেন, এমন রোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এই ৪টি হাসপাতালে বহির্বিভাগ নেই।
৭টি হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি রাখার পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে কেউ গেলে বহির্বিভাগ বা জরুরি বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। আর একটি হাসপাতালে এখনো করোনা রোগী ভর্তি শুরু হয়নি, তবে হাসপাতালে বহির্বিভাগ খোলা রয়েছে।
বহির্বিভাগ চালু রয়েছে এমন দুটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী এলে তাঁকে করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে নিকটস্থ পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ (সংক্রমণ নিশ্চিত) হয়েছেন, কিন্তু উপসর্গ মৃদু ও মাঝারি, এমন রোগীদের উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের শারীরিক জটিলতা রয়েছে, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রগুলো বলছে, জেলা ও উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা যাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। সংগ্রহ করা নমুনা নিকটস্থ পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৪ বা ২৫ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আগে ও পরের দিনগুলোতেও করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কার্যক্রম একইভাবে চলবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) সাবেক পরিচালক ও করোনা পরীক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ক সমীর কান্তি সরকার গতকাল বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে এবং অন্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত যত পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেগুলো ঈদের ছুটিতেও চালু থাকবে।
ঈদের ছুটিতেও সেবা পাওয়া যাবে
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার ২৯১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম নবী প্রথম আলোকে বলেন, এখন কোনো দিন-তারিখ আলাদা নেই। যেকোনো সময় উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে চিকিৎসক দেখাতে পারবেন। হাসপাতালের হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবাও দেওয়া হচ্ছে। হটলাইন নম্বর ০১৮৪৪৬৬৫৫৮৫।
মিরপুরের লালকুঠিতে অবস্থিত মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ৭৭ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের হটলাইন নম্বরে ০১৭৭৬০১৮৭০৬ ফোন করেও সেবা পাওয়া যাবে। হাসপাতালের পরিচালক শামছুল করিম গতকাল বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে যে কেউ হাসপাতালে এলে চিকিৎসা পাবেন। সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়া যাবে এমনভাবেই চিকিৎসকদের পালা ভাগ করা হয়েছে।
বেসরকারি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ মে থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ধানমন্ডির আনোয়ার খান হাসপাতালে ১৬ মে থেকে করোনা চিকিৎসা শুরু হয়। এই দুই হাসপাতালে কোনো রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে গেলে বহির্বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরার দুটি শাখায় বৃহস্পতিবার ১১৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল দুটিতে শয্যা রয়েছে ১০০টি। রিজেন্ট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিক শিবলী বলেন, দুই শাখার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কক্ষগুলোতেও শয্যা পেতে রোগী রাখা লাগছে। রিজেন্ট হাসপাতালের হটলাইন নম্বর ০১৯৫৮৪১৮১১৩ ও ০১৯৫৮৪১৮১১৬।
শুধু করোনা রোগী ভর্তি
করোনার জন্য নির্ধারিত ঢাকার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল ও বেসরকারি সাজিদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বহির্বিভাগ নেই। এগুলোতে শুধু করোনা পজিটিভ রোগীরা ভর্তি হতে পারছেন।
রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে ১ মে রোগী ভর্তি করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন এমন রোগীরাই এই হাসপাতালে সেবা পাচ্ছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও অন্যান্য স্টাফের সংকট রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে অবস্থিত সাজিদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ৪০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ৩ জন আইসিইউতে। ব্যবস্থাপক ওবায়দুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে বহির্বিভাগ সুবিধা বন্ধ। শুধু করোনা শনাক্ত রোগীদের এখানে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল প্রস্তুত হলেও রোগী নেই
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সরকারি-বেসরকারি ১৩টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টিতেই করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। মহাখালীতে অবস্থিত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি ছিল না।
হাসপাতালের পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এখনো করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী এখানে পাঠানো হয়নি। তবে কোনো রোগী ভর্তি না থাকলেও হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু আছে এবং হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের হটলাইন নম্বর ০১৩১৩৭৯১১৪৪।
সেবা পেতে টাকা লাগবে না
করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না। যেসব বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছে, তারা কাজ শুরুর আগে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো ভবন ব্যবহার করতে দেয়, নিজস্ব লোকবলও দেয়। সরকার চাহিদা অনুযায়ী আরও লোকবল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
আনোয়ার খান মডার্ন কলেজের পরিচালক অধ্যাপক এহতেশামুল হক বলেন, হাসপাতাল ও সরকার দুই পক্ষই লোকবল ও লজিস্টিক দিচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসক সংকট অনেকটা কেটেছে
করোনার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সরকার ৩৯ বিসিএস থেকে দ্রুত ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। ১২ মে এসব চিকিৎসক কাজে যোগ দেওয়ার পর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট কিছুটা কমেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
মহানগর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আশরাফুল হাসান বলেন, নতুন নিয়োগ পাওয়াদের মধ্য থেকে ২০ জনকে মহানগর হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে। এখন চিকিৎসক সংকট নেই। এই হাসপাতালে কয়েক দিনের মধ্যে আইসিইউ চালু হবে। সে জন্য প্রশিক্ষিত লোকবল লাগবে। হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু আছে এবং হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের হটলাইন নম্বর ০২৫৭৩৯০০৬৬ এবং ০২৫৭৩৯০৮৬০।
অ্যাম্বুলেন্স নির্ধারিত করেনি সরকার
করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তির পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা অথবা বাসায় থাকা করোনা রোগীর শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে হাসপাতালে যেতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হতে পারে।
করোনা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, কোন অ্যাম্বুলেন্সগুলো করোনায় আক্রান্ত রোগী বহন করবে, সেটি নির্দিষ্ট করা নেই। ফলে কেউ কেউ বেশি টাকার বিনিময়ে করোনা রোগী বহন করছে। সরকারের উচিত কোন অ্যাম্বুলেন্সগুলো করোনা রোগী বহন করবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া।
করোনা রোগীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা নির্ধারণ করে ‘অ্যাম্বুলেন্স পুল’ করার পরামর্শ দিয়েছে সরকার গঠিত ১৭ সদস্যের করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সে সুপারিশ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তবে সরকারি তথ্যসেবার হেল্পলাইনে (৩৩৩) কল করলে সেখান থেকে করোনা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় বলে অ্যাম্বুলেন্সের মালিকেরা জানিয়েছেন।
চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে
সরকারের নির্দেশ রয়েছে, চিকিৎসাসুবিধা থাকা সত্ত্বেও জরুরি চিকিৎসার জন্য আসা কোনো রোগীকে ফেরত দেওয়া যাবে না। কোনো রোগী করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ হলে ওই হাসপাতালকেই ‘কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষের’ সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
১১ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়, সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেসব রোগী অনেক দিন ধরে কিডনি ডায়ালাইসিসসহ বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করছেন, তাঁরা কোভিড আক্রান্ত না হয়ে থাকলে তাঁদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল এই নির্দেশনা অমান্য করলে লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
সরকার গঠিত করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, কয়েকটি হাসপাতালে রোগীর অত্যধিক চাপ পড়েছে। নতুন চালু হওয়া হাসপাতালগুলোর সব শয্যা ব্যবহার করা গেলে চাপ কমবে। কোন হাসপাতালে কত শয্যা খালি, তা জানতে সফটওয়্যার প্রস্তুত এবং অ্যাম্বুলেন্স পুল করার সুপারিশ করা হয়েছে। এটা যত দ্রুত হবে, রোগীদের ভোগান্তি তত দ্রুত কমবে। (প্রথম আলো)
বার্তা কক্ষ,২৩ মে ২০২০