Sunday, 21 June, 2015 6:37:37 PM
চাঁদপুর টাইমস,ঢাকা:
শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনা দাবি করায় বিনানোটিশে শেভরন বাংলাদেশের ৪৮ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। এমন অভিযোগ করে তাদেরকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে চাকরিচ্যুতরা। তারা বলেন, আসন্ন ঈদ এবং বর্তমান রমজানে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা। হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে এখন কোথায় যাবো?
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান। বেআইনি ছাঁটাই বন্ধ, ছাঁটাইকৃত সব শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহাল এবং শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্তি নিশ্চিতের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শেভরন বাংলাদেশ ব্লক নং ১৩ ও ১৪ লিমিটেডের শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
চাকরিচ্যুত ৪৮ কর্মচারীর সবাই চালক উল্লেখ করে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শেভরন বাংলাদেশে প্রায় ১১ বছর ধরে কর্মরত। অথচ এখনো আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা বেতন বৃদ্ধিসহ শ্রমআইন অনুযায়ী পাওনা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে আসছি। এ বিষয়ে কোম্পানির বিদেশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ পরিস্থিতিতে দাবি আদায়ে ১৮ মে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপর আমরা শ্রম আদালতে এ বিষয়ে মামলা করলে ২৫ মে শ্রম আদালত একটি আদেশ শেভরন বরারবর প্রেরণ করে। সে আদেশে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের হয়রানীর উদ্দেশে বদলি, বেতন বন্ধ বা টার্মিনেশন না করতে বলা হয়। কিন্তু শেভরনে আদেশ পৌঁছানোর একদিন পরই ২৬ মে থেকে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরপর ১৬ জুন আবার অফিসে ঢুকতে গেলেও আমাদের অফিসে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং ২৫ মে এর পর বিভিন্ন ধাপে আমাদের ৪৮ কর্মীকে বিনানোটিশে হাঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
এ পরিস্থিতিতে চাকরিচ্যুতরা আসন্ন ঈদ এবং বর্তমান রমজানে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছে উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করে শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ ভুঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন, সদস্য নরেন কান্তি কবিরাজ প্রমুখ।
চাঁদপুর টাইমস : ডেস্ক/ডিএইচ/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।