পবিত্র মাহে রমজান ও করোনা ভাইরাসের মহামারিতে থেমে নেই চাঁদপুর শহরের মঠখোলা খলিশাঢুলী এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা।
বিকেলের পর থেকে এসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা ওয়াবদা গেইট মেঘনা-ধনোগোদা সেচ প্রকল্পের অফিসের মাঠে জড়ো হতে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের এই আড্ডা।
আর এখানেই বসে মাদকের টাকা জোগাতে পরিকল্পনা করে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করছে তারা।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের মহামারি রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে, ঠিক সেই সুযোগে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের খলিশাঢুলী, ওয়াবদা গেইট ও মঠখোলা এলাকায় কিছু যুবক মাদক বিক্রি ও সেবনের সাথে বেশী করে জড়িয়ে পরেছে।
“স্বল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ” এই লোভ সামলাতে না পেরে এলাকার কর্মহীন সিএনজি চালক, অটোরিক্সা চালক, দিনমজুর ও কিছু স্কুল-কলেজের ছাত্রদের মাদক বিক্রি ও সেবনে নামিয়ে দিয়েছে মাদক সিন্ডেকেটের হোতারা। শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবনকারীরা বিকেলের পর থেকে এখান থেকে এসে মানক কিনে নিয়ে যায়।
অপরদিকে মাদকের টাকা জোগান দিতে স্থানীয় যুবকরা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করার জন্য রট, সিমেন্ট, ইট, সিলেকশন বালু এনে রাখলে তারা রাতের আঁধারে নির্মানাধীন ভবনের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এবং স্থানীয় টং দোকানের মালামাল, খালি বাড়ির আসবাপত্র ও গাছের ফলসহ যা পাচ্ছে তাই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় সন্ধ্যার পর থেকে চাঁদপুর-বাবুরহাট সড়কে হালকা চলাচল করা অটোরিক্সা, রিক্সা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহন থামিকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজী করছে তারা। সড়ক দিয়ে চলাচল করা তরুণী ও নারীরাও তাদের কাছে নিরাপদ নয়।
খোজ-খবর নিয়ে আরো জানা যায়, এসব বখাটে যুবকদের অল্প বয়সে এক থেকে একাধীক স্ত্রী রয়েছে। তাদের পিতারা সিএনজি, অটোরিক্সা, মাইক্রোচালক ও দিনমজুর। তারা কখনই এসব বিষয়ে তাদের সন্তানের তেমন একটা শাসন করেন না। তাদের বিরুদ্ধে বিচার দিতে আসলে উল্টো হেনস্তা হতে হয়। ফলে দূর-দূড়ান্ত থেকে এসে এখানে জমি কিনে বাড়ি করে মানুষ পড়েছে বিপাকে। সন্ধ্যার পর থেকে মানুষকে জীবন বাজি রেখে চলাচল করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, খলিশাঢুলী এলাকার গাড়ী চালক মানিক প্রধানিয়ার পুত্র মো. মনির প্রধানিয়া, জমির প্রধানিয়ার পুত্র জনি প্রধানিয়া, খালেক প্রধানিয়ার পুত্র সাব্বির প্রধানিয়া, রিজিয়া বেগমের পুত্র টুটুল খান, বারেক প্রধানিয়ার পুত্র তুহিন প্রধানিয়া, নজু প্রধানিয়ার পুত্র বাবু প্রধানিয়া, আলমগীর প্রধানিয়ার পুত্র সৈকত প্রধানিয়া, হাছান খার পুত্র সোহেল খা, মিজান গাজীর পুত্র আমিন গাজী ও মজিব গাজীর পুত্র রাব্বি গাজীসহ আরো ১৫ থেকে ২০ জন যুবক এসব অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের সকলের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এদের কিশোর গ্যাং হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
চাঁদপুর করেসপন্ডেট,৯ মে ২০২০