চাঁদপুরে করোনায় প্রবাসী খলিলুর রহমান মিন্টু মিজি মৃত্যুর কথা বলে দাফন করা হয়। স্ত্রী ও শ্যালোকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে বোনের মামলা। আটদিন পর কবর মৃতদেহ উত্তোলন করে প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড উত্তর বালিয়া মিজি বাড়ির কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে ইমরান হোসেন সজিবের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রবাসী মৃত্যুর ঘটনায় তার বোন শেফালী বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে আমরা লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসার পরেই পরিবার নিয়ে শহরের মমিনপাড়া বহদার বাড়ি রোড এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করেন।
গত ২৬ এপ্রিল হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়েছে বলে স্ত্রী লায়লী বেগম ও শ্যালক সোহাগ জমাদার ঢাকা উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যেই মতলব মুন্সিরহাট এলাকায় মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায়।
তারা তাকে ঢাকা না নিয়ে ফিরে এসে চাঁদপুর বারাকাহ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে জানান। লায়লী বেগম ও তার ভাই সোহাগ সহ রাতেই তড়িগড়ি করে মিন্টু মিজির লাশ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করে।
এদিকে বোন লায়লী বেগম বলছেন, ভাইয়ের করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। আমাদের পুরুষ কেউ না থাকায় আসা হয়নি। পরে জানতে পারি ভাইয়ের শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেন সজিব বলেন, এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ৪ মে ২০২০
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur