করোনার প্রাদুর্ভাবে সময়মত ঔষুধ ও খাবারের অভাবে ফরিদগঞ্জের নুরুন নবী ফার্মের প্রায় ১৫শ বয়লার মুরগী মাটির নিচে চাপা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলধানা গ্রামে নুরুন নবী ফার্মে গত ২৫ মার্চ ফরিদগঞ্জ বাজারের মিজান প্রল্টি ফার্ম থেকে দুই হাজার বয়লার বাচ্ছা আনা হয়।
গত কিছুদিন পূর্বে ঝড়ে প্রায় ৩/৪ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় হঠাৎকরে মুরগী গায়ে ঠান্ডা লাগে। কিন্তু দেশে চলমান লকডাউনে পড়ে মুরগীর রোগ প্রতিরোধের জন্য সময়মত ঔষুধ ও খাবার সংকটে পড়ে খামারের মালিক মো. নুরুনবী দিশেহারা হয়ে পড়েন।
২৮ এপ্রিল থেকে খামারিদের চোখের সামনে দৈনিক ৩/৪ শ মুরগী মাটির নিচে চাপা দিতে থাকে। প্রায় দেড় দুই কেজি ওজনের দুই হাজার মুরগী থেকে জরুরী ভাবে ৫শ মুরগী দ্রুততম সময়ে সরানো গেলেও বাকি প্রায় ১৫শ বয়লার মুরগী মাটিতে গর্ত করে চাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানান উক্ত ফার্মে নিয়োজিত শ্রমিক নোমান ও শাওন।
খামারের মালিক উক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ও তরুন উদ্যোক্তা মো. নরুন নবী বলেন, দেশের চলমান লকডাউনের কারনে আমার ফার্মের প্রায় ১৫শ মুরগী চোখের সামনে মরে গেল। আমি মহাজনের পুরা টাকা দিতে পারিনি, এতে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,১ মে ২০২০