বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে আতঙ্কে দিন কাটছে দেশের মানুষ। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলমান সাধারণ ছুটির কারণে বেশিরভাগ সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা থাকছে ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতির অর্থনীতিকে সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতির অর্থনীতিকে সচল রাখতে যেসব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারের অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর মতোই নিজেদেরকে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন তাদের এ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক।
রোববার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার সোনালী ব্যাংক এর শাখায় গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ব্যংকের নিচ তলা থেকে দোতলা পর্যন্ত গ্রাহকদের সাঁরিবদ্ধ লাইন। এদেরকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তার প্রহরী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
ব্যাংকের প্রবেশ মুখে হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদেরকে। তবে কেউ কেউ তা মানতে চায়না। কেউ কেউ হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত না করে ব্যাংকে ঢুকে পড়তে চায়। এতে করে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
এসময় ছেংগারচর বাজার সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ মফিজ উদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, জাতির অর্থনীতিকে সচল রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে হচ্ছে। জীবনের মায়া কার না আছে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে প্রতিদিন বাসা থেকে যখন বের হই, তখন পরিবার থেকে বাধা আসে। অফিসে আসলে তারা সবসময় উদ্বেগ উৎকন্ঠায় থাকে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যাংকে আসে। আমরা ব্যাংকে এবং (বাইরে যেখানে লাইন দাঁড়ায়) সেভানে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য ৩ ফিট অন্তর অন্তর বৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকে সামাজিক দূরুত্ব, করোনা ভাইরাসের ভয়াভহতা সর্ম্পকে এখনও সচেতন নয়। এদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে ব্যাংক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ঝুঁকিপ্রবনতা বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু বর্তমানে ব্যাংকিং খাত অনলাইন চালু রয়েছে। তাই প্রতিটি উপজেলায় একটি শাখায় সপ্তাহে এক বা দু’ দিন চালু রাখলে এ ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
প্রতিবেদক:কামাল হোসেন খান,১৪ এপ্রিল ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur