মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা তিনজনের শরীরে আবারো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই তিনজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা ইতালিফেরত যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। দ্বিতীয়বার আক্রান্ত তিনজন ইতালিফেরত ওই যুবকের স্ত্রী, শাশুড়ি ও বন্ধু।
বাংলাদেশে আক্রান্ত হওয়া তালিকার মধ্যে এরা মোটামুটি প্রথমদিকের ছিলো। এছাড়া সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। তিনি ইতালিফেরত যুবকের শ্বশুর। চারজনের মধ্যে তিনজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ইতালিফেরত যুবকের স্ত্রীকেও ওই হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
গত ২৭ মার্চ ওই তিনজনকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেয় মাদারীপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর আবার তারা আক্রান্ত হলেন।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, আগে ইতালিফেরত যুবকের সংস্পর্শে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও বন্ধু করোনায় আক্রান্ত হন। তারা সুস্থ হলে তাঁদের বাড়িতে এক মাসের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। এক মাসের মধ্যে তাদের শরীরে আবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আইইডিসিআরে তাদের নমুনা পাঠানো হয়। সেখানে আগের তিনজনের (স্ত্রী, শাশুড়ি ও বন্ধু) করোনাভাইরাস পজিটিভ দেখা যায়। তাদের মধ্যে ইতালিফেরত যুবকের শাশুড়ি ও বন্ধুকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আর তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা হবে। এ ছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ইতালিফেরত যুবকের শ্বশুর।
মাদারীপুর হাসপাতাল সূত্র জানায়, আইসোলেশন ওয়ার্ডে চারজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনই শিবচর উপজেলার। এ ছাড়া সদর উপজেলার এক ব্যক্তি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার দুপুরে আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজনকে রাখা হয়। পরে তাদের নমুনা আইইডিসিআরের সহযোগিতায় ঢাকায় পাঠানো হলে ৭২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। ওই ব্যক্তি এখন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
তবে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়াদের ব্যাপারে সিভিল সার্জন কিছু জানাননি। আরো পড়ুন-করোনায় কি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়া আশংকা আছে! কি বলছেন গবেষকরা?
বার্তা কক্ষ, ৬ এপ্রিল ২০২০