জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে ১০টি এজেন্সির বদলে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয় পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দু’দফা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়াও কলিং ভিসায় কর্মী নিয়োগের বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এ প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু অপেক্ষমাণ কর্মীদের পথ উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণের বিষয়েও মালয়েশিয়া সরকার ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শাহীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব সানজিদা শারমিন।
এছাড়াও সভায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ ও বেগবান করার লক্ষ্যে গঠিত দু’দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ০৯.৩০ টায় মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
ওই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। এরপর স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ার হিউম্যান রিসোর্স মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মি. কুলাসেগারান এর সঙ্গে একটি সভায় মিলিত হন।
এই সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ১ হাজার ১৭৯টি। ২০১২ সালে দুই দেশ শুধু সরকারি মাধ্যমে জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চুক্তি সই করে।
২০১৬ সালের তা পরিমার্জন করে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জি টু জি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া গেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬২ জন শ্রমিক পাঠায় বাংলাদেশ।
বশির আহমেদ ফারুক, মালয়েশিয়া
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮