ফাল্গুনের পড়ন্ত বিকেল। যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরজুড়ে ভিড়। মিনার প্রাঙ্গণে চলছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
যশোর সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। পরে দেশের গান পরিবেশন করেন সুরবিতান, উদীচী, সুরধুনী ও চাঁদের হাটের শিল্পীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিড় জমলেও সন্ধ্যার পর সেটি উপচে পড়ে। সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংস্কৃতিপ্রিয়দের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে শহীদ মিনারের পাদদেশ। ফলে উপচে পড়া ভিড়ে শহীদ মিনারে পা ফেলানো দুষ্কর হয়ে ওঠে। সন্ধ্যার পর শহীদ মিনারের বেদিতে জ্বালানো হয় পাঁচ হাজার ২০০ মোমবাতি।
মোমবাতির এই আলোর বিন্দু উৎসর্গ করা হয় অমর একুশের ভাষা শহীদদের। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশাপাশি যশোরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন এই মোমবাতি প্রজ্বলনে অংশ নেয়। ৫২০০ মোমবাতির আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক সংগঠন চাঁদের হাট যশোর অমর একুশের ভাষা শহীদদের স্মরণে এই মোমবাতি প্রজ্বলনের আয়োজন করে। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদের হাট যশোরের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল আলম।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. আনোয়ার হোসেন ও যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু।
এতে ধনবাদ জ্ঞাপন করেন চাঁদের হাটের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল। মোমবাতি প্রজ্বলনের পর ভাষা দিবসের গান পরিবেশন করা হয়। ভাষার গান পরিবেশন করেন চাঁদের হাটের শিল্পীরা।
বার্তা কক্ষ,২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur