খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের লাথিতে এ ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর নাম শাহিনা আক্তার।
বুধবার মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শাহিনা আক্তার তাইন্দংয়ের মুসলিমপাড়ার নোয়াব আলী সর্দারের মেয়ে। সে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ড চলাকালীন দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোনো কারণ ছাড়াই টেবিলের ওপর উঠে শাহিনা আকতারের বুকে ও পেটে লাথি মারেন।
এ সময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরে ফেলব। এ সময় তার সহপাঠী শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন। ওই শিক্ষকের হাত থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যান।
পরে তাইন্দং বাজারে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর নবীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।
বার্তা কক্ষ,২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur