Home / সারাদেশ / কুমিল্লায় বিরল প্রজাতির গুইসাপ অবমুক্ত
গুইসাপ

কুমিল্লায় বিরল প্রজাতির গুইসাপ অবমুক্ত

কুমিল্লায় ফাঁদে আটকেপড়া বিরল প্রজাতির একটি গুইসাপকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে।৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অধ্যাপক মতিন সৈকত নামে স্থানী পরিবেশ কর্মী ও সংগঠক এটি অবমুক্ত করেন।
মতিন সৈকত জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া-আদমপুর এলাকায় অবস্থিত সিসিডিএ অফিস সংলগ্ন এক মৎস্য প্রকল্পে শুক্রবার সকালে একটি বিরল প্রজাতির গুইসাপ ফাঁদে আটকে যায় ।
স্থানীয় উৎসুক কিশোর -যুবকরা এটিকে বেঁধে উল্লাস করছিলো। একপর্যায়ে তারা এটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সে সময় পুটিয়া গ্রামের আল আমিন নামে এক যুজকের মাধ্যমে এ সংবাদ পান পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত।
তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিরল প্রজাতির গুইসাপটিকে তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করেন। এই সময়ের মধ্যে গুইসাপটি কিছুটা অসুস্থ হয়েপড়ে। পরে মতিন সৈকত এটিকে প্রাথমিক পরিচর্যা দিয়ে সুস্থ করেন এবং শেষে স্থানীয়দের উপস্থিততে নিরাপদ স্হানে অবমুক্ত করে দেন।
এ সময় তিনি তরুণ সমাজের উদ্দেশ্য বলেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে শিশু কিশোর তরুণদের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জীব বৈচিত্র্যই পৃথিবীর সৌন্দর্য।’
উল্লেখ্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে  তিন দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।  বিষমুক্ত ফসল, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, স্বল্প মূল্যে ২৫ বছর যাবত বোরোধানে সেচ সুবিধা প্রদান, খাল-নদী পূনঃখনন আন্দোলন, প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, এক হাজারের বেশি পাখি উদ্ধার এবং অবমুক্তিকরণ, সামাজিক  উন্নয়ন সহ দশটি খাতে পরিবর্তনের  নেতৃত্ত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন।
তার অবদান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করছে। মতিন সৈকত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং  ব্যাবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ১৪১৫ এবং ১৪২১ বঙ্গাব্দে দইবার কৃষিতে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকে ভূষিত করেন।
জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল