চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে ১২ নং চরদুঃখিয়া ইউনিয়নে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের নির্মানাধীন ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের রড ও পাথর ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের মোড় থেকে বটতলা সড়কের লড়াইরচর কাশিম আলী বেপারী বাড়ি সংলগ্ন ১২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯’শ চুরাশি টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গত বছর দরপত্র আহবান করে। তারই ধারাবাহিকতায় টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আউয়াল পাটওয়ারী কাজ পায়। গত বছরের শেষের দিকে সাব-কন্টাকে ফারুক এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে। কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কাজ করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসি নাছির হাওলাদার বলেন, পুরাতন ব্রিজ ভাঙ্গার পর চলাচল উপযোগী বিকল্প রাস্তা নির্মান না করেই কাজ শুরু করে ঠিকাদার, যে কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। সাধারন পথচারীসহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা শংকার মধ্য দিয়ে পারাপার হতে হয় ঐ রাস্তা দিয়ে। শুধু তাই নয়,ব্রিজের বেইচ ডালাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে পুরনো ভাঙ্গা ব্রীজের পুরাতন রড,ব্রিজ ভাঙ্গার কংক্রিট ও নিম্ন মানের পাথর, যা নিয়ে জনমনে নানান ধরনের প্রশ্ন রয়েছে এবং সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এ বিষয়ে পথচারি নাছির হাওলাদার ও বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫’শত লোক আশা যাওয়া করে। প্রায় প্রতিনিয়তই কেউ না কেউ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এবং বিকল্প রাস্তাটিতে পথচারীরা একটি সাইকেল নিয়ে ও ঠিক মত আশা যাওয়া করতে পারছেন না, পথচারি নাছির হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আমি মোটর বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে চিটকে পড়ে যাই, এসময় ঠিকাদার ফারুককে এলাকা বাসির চলাফেরার স্বার্থে বিকল্প রাস্তাটি ঠিক করতে বললে, ঠিকাদার ফারুক কিছু বখাটে যুবকদের নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে মন চাইলে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করবি, না হয় অন্য রাস্তা দিয়ে যাবি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার ফারুক এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এই কাজটি সাব-কন্টাকে নিয়েছি। সম্পূর্ন নিয়ম মেনে আমি ব্রিজটি নির্মাণের কাজ করছি এবং খুব দ্রুত ব্রিজটির কাজ সম্পূর্ন হবে।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও নাছির যেই অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূন্ন ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিল্টন দৌস্তিদারকে অফিসে একাধিক বার গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি, তার মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি মোবাইলে কোন কথা বলতে রাজি হননি এবং তিনি এ প্রতিনিধিকে সকাল, দুপুর, বিকেল ও সন্ধায় অফিসে গিয়ে তথ্য দিবে বলে টালবাহানা করেন। অতঃপর তিনি তথ্য না দিয়েই অফিস থেকে চলে যান।
শিমুল হাছান
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur