‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোনো ফাসিক তোমাদের কাছে কোনো বার্তা নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা পরিক্ষা করে দেখ, এ আশন্কায় যে, অজ্ঞতাবসত তোমরা কোনো সম্প্রদায়েকে আক্রমণ করে বসবে, ফলে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হবে,’ (সুরা আল হুজরাত আয়াত ০৬)।
বস্তুত ইসলামের মূল উদ্দেশ্য সমূহের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা মানুষের ক্ষতি ও অকল্যাণকে প্রতিহত করা।
আলচ্য আয়াতটিতে সে বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে মানুষের ক্ষতি ও অকল্যাণের উপকরণসমূহের অন্যতম উপকরণ অসত্য তথ্য, সংবাদ, অপপ্রচার ও গুজবের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিতিমালা বর্ণিত হয়েছে।
ইসলামী জীবন বিধান এ নীতিমলার মাধ্যমে একটি সুন্দর, সস্হ ও সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মান করে, যে সমাজ পাপ, অপকর্ম এবং যাবতীয় নিষিদ্ব ও হারাম তৎপরতাগুলকে কঠিন ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
এর মধ্যমে মানবজাতি উন্নত নৈতিকতা ও অনুপম চরিত্রের দিকে মানব গোষ্ঠীকে পরিচালিত করে এবং মানুষের মান-সম্মানের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে বিচরণ করে মূলত ইসলাম তার অনুসারী ও অনুগামীদেরকে লাগামহীন কথা বলতে নিষেধ করে।
তাই ফেসবুক বা যে কোনো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ যে কোনো মাধ্যমে কোনো সংবাদ বা প্রচারণা দেখামাত্রই বিশ্বাস বা তার ওপর বিশ্বাস রেখে কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করে।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে উক্ত আয়াতে সংবাদ ও তথ্য সংগ্রহ এবং গ্রহণ করার ক্ষেত্র কুরআনের সুস্পষ্ঠ নীতিমালা অনুযায়ি গ্রহণ করার তাওফিক দিন -আমিন।
মাও. শামছুদ্দিন মাহমুদ, ইসলামী বিভাগ, চাঁদপুর টাইমস।