চাঁদপুরের কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.ওয়ালী উল্যাহ অলি’র প্রত্যাহারের দবিতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১২ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে কচুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম দাবি করেন, গত ৭ জানুয়ারি বুধবার রাতে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দোঘর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারি যে, পারিবারিক একটি বিষয়ের কারণে তার দোকান বন্ধসহ নানা সমস্যা চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অবস্থানরত সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজমান সমস্যার কারণে মারামারির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি আমার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে থাকায় ওই সময়ে কচুয়া থানার ওসি মহোদয়কে ফোন করে পুলিশ পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানাই এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম লালুকে বিষয়টি অবগত করি।
এছাড়া এলাকার উপস্থিত গন্যমান্য লোকদেকে ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করে স্থান ত্যাগ করি। ঘটনার পরের দিন লোকমুখে জানতে পাড়ি যে, উল্লেখিত ঘটনায় কচুয়া থানায় আমাকে ২নং আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আমি ওসি সাহেবকে ফোন করি। তিনি মামলার সত্যতা স্বীকার করে এবং আমাকে আসামি করা হয়েছে মর্মে জানান (মামলা নং ০৩)। আমাকে আসামি করার বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে ফোনে কথা হয়।
মামলায় এজাহার সম্পর্কে বাদী মো. শরীফুল ইসলাম,ইউপি চেয়ারম্যান ও আমার কিছু লোকজনকে জানান যে, তিনি বাদী শরীফুল ইসলাম মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।
মূলত বাদীর কথপোকথনের ফোন রেকর্ড পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, ওসি বাদীর অভিযোগকে এজাহার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। আমি বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ওসি কর্তৃক আমার সম্মান হানীর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের (সাংবাদিকদের) অবগত করছি।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওয়ালী উল্যাহ অলি বলেন, বাদী যে ভাবে এজাহার দিয়েছে সে ভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
স্টাফ করেসপন্ডেট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur