আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শুক্রবারের মধ্যে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টির আশংকা রয়েছে। কারণ, বঙ্গোপসাগর থেকে কিছু জলীয় বাষ্প উপকূলের দিকে আসছে।
উপকূলে আসার পর পুবালি বাতাসের সঙ্গে পশ্চিমা বাতাসের মিশ্রণে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ১০ থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর আগে আকাশে মেঘ থাকলে কুয়াশা পড়তে পারে। নদী অববাহিকায় কুয়াশার ঘনত্ব তুলনামূলক বেশি থাকবে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, আপাতত দুদিন কুয়াশা পড়লেও শীতের তীব্রতা খুব একটা বাড়বে না। কাল থেকে বৃষ্টি হলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও রাতের বেলা তাপমাত্রা বাড়বে। তবে শীত অনুভূত হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত একটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় ভিজিবিলিটি ছিল ১০০০ মিটার। কিন্তু মাত্র ৫০ মিনিটের ব্যবধানে সেটি ৫০০ মিটারে নেমে আসে। এরপর থেকে ভিজিবিলিটির মাত্রা আরও নামতে থাকে। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে এটি ৫০ মিটারের নিচে নেমে আসে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিজিবিলিটি ছিল ৮০০ মিটার। এতে করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়
বার্তা কক্ষ, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯