বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
নিখিলের জন্মস্থান চাঁদপুরের মতলব থানার হরিনা গ্রামে। জন্ম চাঁদপুরে হলেও ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়।
তার পিতা মরহুম মোফাজ্জল হোসেন খান ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার ৫নং দূর্গাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি। তিনি সমাজসেবা এবং রাজনৈতিক জীবনে অত্যন্ত সৎ,ন্যায় ও নিষ্ঠাবান লোক ছিলেন।
নিখিলের বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। মাইনুল হোসেন খান নিখিল ৫ ভাই ও ৪ বোন। তার বড় ভাই মরহুম মনসুর হোসেন খান বাবলু ছিলেন বেলজিয়াম শাখা আ’লীগের সভাপতি। তার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ পরিবারের।
মিরপুর ঢাকা সহ সারা দেশে যুবলীগ নেতা হিসেবে নিখিলের পরিচিতি রয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর পূর্বে তিনি যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন সাফল্যের সাথে। তৃনমূল থেকে অদ্যবধি রাজনীতির প্রতিটি গন্ডি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে পালন করে এসেছেন।
যখন ক্যাসিনো নামক শয়তানের কালো ছায়া অনেক ক্ষমতাসীন যুবলীগ-আওয়ামীলীগ-এমপি-মন্ত্রীদের দাওয়া করছে তখন মাইনুল হোসেন খান নিখিল নির্বিঘ্নে তার দায়িত্ব পালন করেছেন সততা ও সাহসসিকতার সাথে।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,‘সম্ভবত ২০০২ কিংবা ২০০৩ সালের কথা। আমরা তখন বিরোধী দলে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সফরে গিয়েছিলাম দেশের উত্তরাঞ্চলে। সে সময় উত্তরাঞ্চল ছিল মঙ্গাপীড়িত (কাজের অভাব) এলাকা। রোগে-শোকে, অভাব-অনটনে সেখানকার মানুষের অবস্থা খুব নাজুক ছিল। হাত-ত্বক আঁচিলে ভরা এমন বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ছিল সেখানে। তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে মিশতে, হাত মেলাতে, কিংবা আলিঙ্গন করতে কিছুটা অস্বস্তি লাগছিল আমার। কিন্তু আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের সঙ্গে আপনজনের মতই মিশেছেন। তাঁর মধ্যে অস্বস্তির লেশমাত্র ছিলনা। ব্যাপারটি আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে, অনুপ্রাণিত করেছে। নেত্রী উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা সমস্যা মনে রেখেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা সমস্যার সমাধান করেছেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন সদ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
রাজনীতিতে মাইনুল হোসেন খান নিখিলের অভিষেক ছাত্রলীগ দিয়ে। আর আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের মধ্য দিয়ে। দেশের নানা রাজনৈতিক সংকট ও পট পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। অংশীদার আওয়ামী লীগের অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের।
পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবনের বাইরে মাইনুল হোসেন খান নিখিল একজন সমাজসেবক। একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে তার ভূমিকা সুবিদিত। যে স্কুলে তার পড়াশোনার হাতেখড়ি বর্তমানে তিনি সেই নিশ্চিন্তপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি।
প্রতিবেদক:কামাল হোসেন খান,২৪ নভেম্বর ২০১৯