দেশের একুশটি বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠান ২শ’৯৩ কোটি টাকা কর দিয়েছে। বুধবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়কর মেলার শেষদিনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো.মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার হাতে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করের পে-অর্ডার তুলে দেন।
যেসব প্রতিষ্ঠান কর দিয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-আইএফআইসি ব্যাংক (৫০ কোটি টাকা),সিটি ব্যাংক (২০ কোটি টাকা),প্রাইম ব্যাংক (১০ কোটি টাকা), যমুনা ব্যাংক (১০ কোটি টাকা),ঢাকা ব্যাংক (১৫ কোটি টাকা,স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক (১০ কোটি টাকা),পূবালী ব্যাংক (১০ কোটি টাকা),উত্তরা ব্যাংক (১০ কোটি টাকা), ব্র্যাক ব্যাংক (১০ কোটি টাকা), ব্যাংক এশিয়া (১০ কোটি টাকা), স্কয়ার ফার্মা (২০ কোটি টাকা),সাধারণ বীমা করপোরেশন (১০ কোটি টাকা),মিউচুয়াল ব্যাংক (১০ কোটি টাকা) ও বেক্সিমকো লিমিটেড (২ কোটি টাকা)।
পে-অর্ডার গ্রহণের পর এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,‘বৃহৎ করদাতারা সাধারণত অনেক বেশি কর দেন।তবে তারা মেলা উপলক্ষে আমাদের আহ্বানে তাদের করের একটি অংশ আজ জমা দিলেন।’
মেলার ন্যায় হয়রানিমূক্ত পরিবেশে করসেবা আয়কর অফিসে পাওয়া যাবে জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘করদাতারা আয়কর মেলাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেন। কর অফিসেও এমন নির্ভরযোগ্য পরিবেশে করদাতারা কর দিতে পারবেন । সেটি নিশ্চিত করা হবে। কোন কর্মকর্তা কাউকে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন ‘
তিনি বলেন, ‘আমরা করের আওতা বাড়ানোর আপ্রাণ চেস্টা করছি। সেজন্য করদাতাদের কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মেলা এরই একটি অংশ। এর পাশাপাশি কর জরিপের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সামর্থ্যবানদের আয়কর দেয়া নৈতিক দায়িত্ব মন্তব্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের বেশিরভাগ অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করে করা হয়। এছাড়া আমাদের ডিজিপি প্রবৃদ্ধির ৮ শতাংশের উপরে রাখতে হলে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়াতেই হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,এখন কর-জিডিপির অনুপাত ১০ থেকে ১১ শতাংশ। ২০২৫ সালে সেটাকে ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে ২০ শতাংশ নিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি জানান, শেষ দিন মেলা চলবে রাত ৮াট পর্যন্ত। তবে যতক্ষণ করদাতারা থাকবেন ততক্ষণ তাদের সেবা দেয়া হবে।
সপ্তাহব্যাপি আয়কর মেলা শেষ হচ্ছে। তবে মেলা আজ শেষ হলেও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করাঞ্চলে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া যাবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কর মেলা থেকে ২ হাজার ১৬ কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯১০ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ সময়ে ১৫ লাখ ১২ হাজার ৫৯২ জন কর মেলায় বিভিন্ন সেবা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ই-টিআইএন নিয়েছেন ২৬ হাজার ৮৩১ জন। তাঁরা নতুন করদাতা। বাসস
বার্তা কক্ষ , ২২ নভেম্বর,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur