চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণস্থলে থাকা নগর পুলিশ কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, সকালের রান্না বসাতে গিয়ে গ্যাস লাইনের রাইজার বিস্ফোরিত হলে এ ঘটনা ঘটে।
৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। রোববার সকাল ৯টার দিকে বড়ুয়া ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে ওই ঘরের গৃহিণী অর্পিতা দাসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা তিনজন। দুর্ঘটনার সময় বাকি দুজন বাইরে ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
আব্দুর রউফ বলেন, ‘মূলত বিস্ফোরণের কারণে দেয়াল ধসের ঘটনা ঘটেছে। একটি বহুতল ভবনের নিচে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানের কর্মচারী ও পথচারী আহত হন। এখানে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার চাইতে দেয়াল চাপায় বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘পাথরঘাটায় গ্যাস লাইনের রাইজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে একটি দেয়াল ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, দুইজন নারী ও এক শিশু রয়েছে।
বার্তা কক্ষ, ১৭ নভেম্বর ২০১৯