চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি ষড়যন্ত্র মূলক ও মিথ্যা দাবি করে ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ বিআরডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মোতাহার হোসেন নিজেই এ সম্মেলনে বক্তব্য রেখে বলেন, গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষ করে সন্ধায় বিআরডিবির অফিসে বসে অনুষ্ঠানের খরচের হিসাব নিয়ে বসছিলেন। এ সময় তার পাশে বসে থাকা অবস্থায় থানা পুলিশ এসে মামুন ওরফে মনা পাটওয়ারী ও স্বপনের হাতে হাত কড়া পড়িয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ তাদের পকেটে হাত দিয়ে টাকা বের করে ছবি তোলে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে যায়। একই সাথে তাদের সাথে থাকা বিল্লাল হোসেনকে ও আমাদের সাথে থানায় নেয়া হয়। পরে তারা জানতে পারেন পুলিশ তাদের জুয়ার মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করে।
এসবকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ, যুব লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে দলের দুঃ সময়ে দলের স্বার্থে কাজ করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী হওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার রাজনীতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমাকে পুলিশ দিয়ে আটক করে মামলা করাতে বাধ্য করেছে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বিআরডিবিতে গত নয় বছরে ব্যাপক দূনীর্তি হয়েছে, উল্লেখ্য সীমানা প্রাচীর নির্মানের নামকরন করে তিনটি চেকের মাধ্যমে দুই লক্ষ আটাত্তর হাজার টাকা লুটপাট করা করা হয়েছে, ভান্ডারী মহলের ২৪টি দোকান নিমার্নের আয় ও ব্যয়ের কোন হিসাব বিআরডিবির অফিসের নথিতে নাই, উক্ত মার্কেটের স্থানে শতাধিক মূল্যবান গাছ ছিল যাহার বিক্রয়লদ্ব অর্থ আয়-ব্যয়ের অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদক : শিমুল হাছান, ৬ নভেম্বর ২০১৯