নদী বিধৌত জেলা চাঁদপুরে নিষিদ্ধ সূক্ষ্ম ফাঁসের পাকিস্তানি জাল দিয়ে নিধন হচ্ছে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ। একশ্রেণীর অসাধু জেলে অধিক টাকা আয়ের লোখে পদ্মা-মেঘনার নদীতে অবৈধ এই গুইজ্জা বা সূক্ষ্ম ফাঁসের এই জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন।
এ জালে ফাঁদে আটকা পড়ে বড় মাছের পাশাপাশি দেশীয় ও বিরল প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ইলিশসহ দেশীয় মাছ উৎপাদনে সরকারের যে লক্ষমাত্রা তা অনেকাংশে হ্রাস পাবার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন এলাকার কিছু জেলে এই পাকিস্তানি গুইচ্ছা জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন। এছাড়াও রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহীমপুরসহ বিভিন্ন চরেও গুইজ্জা জাল বা চরগড়া দিয়ে ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় অসাধু জেলে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একাধিক জেলের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পিড়ামিট আকৃতির দীর্ঘ এই জালেল মুখের অংশ থাকে প্রায় ৬০ হাত এবং নিচের অংশ থাকে ২ হাত। এই জাল দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে ছেঁকে সকল প্রাকার পোনামাছ তুলে আনা হয়। তারা আরো জানায়, বাংলাদেশের এই জাল আগে কখনো ছিলো না। এই জাল মূলত পাকিস্তানে ব্যবহার হতো। গত প্রায় ৫/৬ বছর ধরে বাংলাদেশে এই জাল অধিকহারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
শীত মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবৈধ সূক্ষ্ম ফাঁসের গুইজ্জা জাল বা চরগড়া দিয়ে অবাধে মাছ ধরা হয়। চাঁদপুরের নদীপাড়ের সচেতন জেলেরা জানায়, প্রশাসন যদি এখনই এসব জাল বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে একটা সময় দেশী প্রজাতির মাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, ৪ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur