চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ডাকাতিয়া নদীতে দীর্ঘ দিনে জ্যাম লেগে থাকা কচুরিপানা পচে গলে মরছে মাছ , দুষিত হচ্ছে নদীর পানি।
মৎস্যচাষী ও বিপুল সংখ্যক গণমানুষের স্বার্থে এই কচুরিপাানা পরিষ্কারের দাবিতে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য ৩ নভেম্বর রোববার সকাল ১১ টায় উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মাহফুজুল হকের কাছে স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে।
ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী – মাছ-পানি- ও পরিবেশ রক্ষা কল্পে গঠিত সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে উক্ত কর্মসূচিতে দিনমজুর মৎস্যচাষী ও এলাকার ভুক্তভোগীরা অংশ গ্রহন করেছে।
ওই দাবিতে উপজেলার সদরে ওনূআ স্মৃতি সংসদ পাঠাগার চত্বরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গনমানুষের ওই দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের (মার্কবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল ও মেয়র মাহফুজুল হক।
সংগ্রাম কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নুর স্বাক্ষরিত স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চাঁদপুর- ফরিদগঞ্জ রায়পুর এই তিন উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর প্রায় ৮০ ভাগই এক সময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার আর্শীবাদ হলেও তা এখন আটকে থাকা কচুরিপানার জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বাঁধের কারনে প্রাকৃতিক জোয়ার ভাটা না থাকায় নদীতে প্রতি বছর কচুরিপানা আটকে যায়। একপর্যায়ে কচুরিপানা পচে গলে মাছ মরে যাচ্ছে, দুষণ হয় পানি ও পরিবেশ। ফলে নদীর দুই তীরে থাকা দিন মজুর হাজার হাজার মৎস্যজীবি কর্মহীন হয়ে পড়ছে।
স্বারকলিপিতে আরো উল্লেথ করা হয়েছে যে, প্রতি বছরই মৎস্যজীবিরা স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছা ¤্রমের বিনিময়ে ডাকাতিয়া নদীর কচুরিপানা সাধ্যনুযায়ী পরিষ্কারের চেষ্টা করে। কিন্তু পাশবর্তী হাইমচর উপজেলায় হাজীমারা স্লুইচগেইট বন্ধ থাকলে তাও সম্ভব হয় না।
কারণ স্লুইচ গেইট খোলা না থাকলে তখন নদীতে স্রোত থাকে না। আর স্রোত না থাকলে কচুরিপানা ওই গেইটের কাছে নেয়া যায় না। বাস্তবে এই সমস্য সমাধান হতে পারে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যেগে একটি স্থায়ী প্রকল্প গ্রহন করে নদীর দুই তীরে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার জন্যে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন- কচুরিপানার জটে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর নৌ-পথ অচল
প্রতিবেদক : শিমুল হাছান, ৩ নভেম্বর ২০১৯