কুমিল্লায় মেহেদী হাসান নামের দশবছর বয়সী এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৯ অক্টোবর শনিবার রাতে সদর উপজেলার দূর্গাপুর চম্পকনগর (সাতওরা) গ্রামে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ নর্দমার ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।
পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাতওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মেহেদী সাতওরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেন ছেলে ।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার পাশের বাড়িতে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার সময় মেহেদী নিখোঁজ ছিল। এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে মেহেদী নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রচার করা হয়। এরপর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গ্রামের ওই পরিত্যাক্ত নর্দমার মেহেদীর গলাকাটা লাশ দেখতে পায় তার স্বজনরা।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে মেহেদীর লাশ উদ্ধার করে।
রিফাতের মা জেসমিন জানান, কিছুদিন পূর্বে তার বাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা হৃদয় নামে এক যুবকসহ কয়েকজনকে সন্দেহ করে তিনি জিনিস উদ্ধারের জন্য চাপ দেন।
কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বলেন, ‘শিশুটিকে শ্বাসরোধ বা গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের দ্রুত বের করা হবে।’
এ ঘটনায় নিহত মেহেদী পাশের বাড়ির হৃদয় নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা প্রতিনিধি, ১৯ অক্টোবর ২০১৯