ঢাকা চাঁদপুর নৌ-পথে চলাচলকারী আব-এ-জমজম লঞ্চ থেকে শনিবার দিবাগত রাতে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয় । চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণ সাখুয়া গ্রামের মজুমদার বাড়ির শাহআলম মজুমদারের ছেলে রিক্সা চালক মামুন মজুমদার (৪৫) তার সহপাঠীদের সাথে ঢাকায় গত রবিবার কাজের সন্ধানে গিয়েছিল।
ঢাকায় গিয়ে মামুন মজুমদার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে ২ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। শনিবার কিছুটা সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়ে নিজ গ্রাম চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে আসার জন্য আব-এ জমজম লঞ্চে উঠেন। তিনি লঞ্চে নিচ তলায় বিছানা করে শুয়ে পড়েন।
রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা সদর ঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছাড়া হলে এর কিছু সময় পর লঞ্চের যাত্রী ও স্টাফরা মামুন মজুমদারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
লঞ্চটি চাঁদপুরকে ঘাটে ভিড়লে রাত সাড়ে ৩ টায় চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। নৌ-থানা থেকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হলে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাদেকুর রহমান সকালে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
মামুনের সহযোগীরা ঢাকা থেকে মোবাইল করে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে মামুনকে চাঁদপুরের পাঠানোর বিষয়টি অবগত করেন। ফাতেমা বেগম সকাল হয়ে গেলে স্বামীর কোনো সন্ধান না পেয়ে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে ছুটে আসেন। সেখানে এসে লঞ্চে একটি লোকের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ফাতেমা বেগমকে মোবাইলে লাশের ছবি দেখালে তিনি মামুন মজুমদারের লাশটি সনাক্ত করেন। আব-এ জমজম লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লাশ দাফনের জন্য ফাতেমা বেগমকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, মৃত মামুন মজুমদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার শশুর শাহআলম মজুমদারকে ছেলের লাশের বিষয়ে অবগত করলেও শাহআলম মজুমদার ছেলের লাশের জন্য থানা পর্যন্ত আসেন নি।
মাজহারুল ইসলাম অনিক, ৬ অক্টোবর , ২০১৯