প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেককাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশের উপযোগি করে এই দেশটিকে স্বাধীন করেছেন। জাতির পিতাকে হত্যা করে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিলো। তাদের লক্ষ্য ছিলো এদেশকে পাকিস্তান তৈরি করতে। আওয়ামী লীগকে তখন ছিন্ন বিছিন্ন করে ফেলে। এই জননেত্রী এসে পুনরায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পৃথীর কোন নেতা শেখ হাসিনার মতো দীর্ঘ সময় নেতৃত্ব দেননি। তিনি এ দেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ সকল সেবায় কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতায়য় রূপান্তরিত হয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা সমান্তরাল ভাবে পূরন করছেন। তিনি কিছুদিন আগেও ভ্যাকসিন টিকার উপরে পুরস্কৃত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি আরো অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। যার কারনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উঁচু করে দিয়েছেন। যারা বলে আওয়ামীলীগ করে কিছু পায়নি, তাদের দলে থাকার দরকার নেই। আওয়ামী লীগ ত্যাগের রাজনীতি করে। আজকে জননেত্রীর নেতৃত্বে এ দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী পরিচালনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন তাঁকে নেক হায়াত দান করেন এবং তাঁকে শক্তিদান করেন। তিনি যেনো যেই সুন্দরভাবে দেশকে পরিচালনা করতে পারেন। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে একটি ম্যাসেজ দিয়েছেন।
তা হলো অন্য দল থেকে আসা নেতাদের থেকে সতর্ক ও সাবধান থাকার জন্য। কারন তারা আওয়ামীলীগ বেশে দলে ঢুকে কিছু লোকব এদেশের উন্নয়নে বাধা গ্রস্থ করছে। এদেশের জনগনকে আবারো বিপদের মুখে ফেলছে। আমাদের চাওয়া ও পাওয়া হলো এদেশের মানুষ যেন বিপদগ্রস্থ না হয় এবং এদেশের আরো উন্নয়ন হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ ইউসুফ গাজী, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ মাস্টার, আব্দুর রশিদ সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্ল্যাহ আখন্দ, দপ্তর সম্পাদক শাহআলম মিয়া, শিক্ষা ও মানব কল্যান বিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান,
পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটল, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক শেখ, জেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি ও মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান মুন্নাসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।