ইলিশের আমদানি বেড়েছে কয়েকগুণ । ট্রলার ও ট্রাকে করে আসছে ইলিশের ঝুরি। আবার ট্রলারে বরফ দিয়েও আনা হচ্ছে ইলিশ মাছ। তবে এসব ইলিশের মধ্যে কিছু ইলিশ আসছে পচা। এসব পচা ইলিশও বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকা মণ দরে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায়, নৌ-পথে ভোলা ও হাতিয়া থেকে ট্রলার ভর্তি করে ইলিশ আনা হচ্ছে। শ্রমিকরা ট্রলার থেকে টুকরিতে করে ইলিশ মাছ ঘাটে নিয়ে আসছে।
জানা যায়, গত পাঁচদিন ধরে এ ঘাটে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
ভোলা থেকে ইলিশের ট্রলারে করে আসা শ্রমিক আব্দুল কাদির বলেন, ‘জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ সংগ্রহের পর একত্রিত করে রাখা হয় সব মাছ। কিন্তু এসব ইলিশ আনার সময় ওপরে ও নিচে কমবেশি বরফ থাকার কারণে কিছু মাছ নষ্ট হয়ে যায়। তবে আড়তে উঠানোর সময় ভালো আর পচা মাছগুলো আলাদা করে উঠানো হয়।’
চাঁদপুর মৎস্য ঘাটের মেসার্স ভাই ভাই মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘প্রতিদিন ভোলা ও হাতিয়া থেকে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মণ ইলিশ আসছে। কিন্তু বরফ সংকটের কারণে জেলের ইলিশ আনার সময় ট্রলারে থেকেই অনেক মাছ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বরফ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণ করার আর কোনো ব্যবস্থাও নেই।’
মেসার্স সিরাজ চোকদার ফিসিং’র ব্যবসায়ী ফারুক চোকদার বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আড়তে ইলিশ এসেছে এক থেকে দেড়হাজার মণ। এখন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি করা ইলিশের মধ্যে যেসব ইলিশ পচে যাচ্ছে এসব ইলিশ ভালো থাকলে প্রতিমণ বিক্রি হয় ২৭ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু পচে যাওয়ার কারণে এসব ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকা মণ দরে।’
তিনি বলেন, ‘পচা ইলিশগুলো দ্রুত বিক্রির জন্য অনেক সময় খুচরা বিক্রেতারা কিনে নেন। আবার মাছঘাটের অনেক ব্যবসায়ী পচা ইলিশের ডিম আলাদা করে বাকি ইলিশ লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখেন।’
সিনিয়র করেসপন্ডেট