১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী। তার বাবার নাম সৈয়দ সিকান্দর আলী। চাকরিসূত্রে বাবার কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের পর তিনি শেষ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন।
বিশ্বভারতীতে তিনি বহু ভাষা শেখার সুযোগ পান । কিন্তু ভারতের অন্যত্র বিশ্বভারতীর ডিগ্রি স্বীকৃত না হওয়ায় প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯২৬ সালে প্রবেশিকা পাস করে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএ শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৯২৯ সালে ‘হুমবল্ট’ বৃত্তি নিয়ে তিনি জার্মানি গিয়ে বার্লিন ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং ডি.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তার চাকরিজীবন শুরু হয় ১৯২৭ সালে কাবুলের কৃষিবিজ্ঞান কলেজে প্রভাষকরূপে। বরোদার মহারাজ সয়াজি রাওয়ের আমন্ত্রণে ১৯৩৫ সালে তিনি বরোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হন।
তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরে পেশা পরিবর্তন করে তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের সচিব ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর কর্মকর্তা হন।
১৯৬১ সালে তিনি বিশ্বভারতীর ইসলামের ইতিহাস বিভাগে রিডার হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে অবসর নেন। তিনি সত্যপীর, রায়পিথোরা, ওমর খৈয়াম, টেকচাঁদ, প্রিয়দর্শী ইত্যাদি ছদ্মনামে আনন্দবাজার, দেশ, সত্যযুগ, শনিবারের চিঠি, বসুমতী পত্রপত্রিকায় কলাম লিখতেন। গ্রন্থাকারে তার ৩০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘দেশে-বিদেশে’, ‘শবনম’ তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
সামগ্রিকভাবে তিনি উভয় বঙ্গে সমান জনপ্রিয় ও সমাদৃত লেখক ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।
বার্তা কক্ষ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯