ভাষাসৈনিক, চাঁদপুরের বিশিষ্ট সংগঠক, হ্ইামচরের কৃতিসন্তান , শিক্ষানুরাগী ও চিকিৎসক ডা.এম এ গফুর শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার সমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫ টায় হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না-রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর ।
তাঁর মৃত্যুতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর মো.হাসান আলী সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। জেলা জাসদ নেতৃবৃন্দ চাঁদপুরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তাঁর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
প্রসঙ্গত,ডা.এম এ গফুর হাইমচরের সরকার পরিবারে ১৯৩২ সালের ২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী পিয়ার আলী সরকার । তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যায়নকালে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলনে দক্ষ সংগঠক তিনি। তবে অনেকটা প্রচারবিমুখ ছিলেন। চিকিৎসা শাস্ত্রে মেডিসিন ও রেডিওগ্রাফিতে দেশ-বিদেশে পড়াশোনা শেষে চাঁদপুরেই আমৃত্যু চিকিৎসা ও সমাজসেবায় জড়িত ছিলেন এ ভাষাসৈনিক।
ডা এম.এ গফুর চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ওপরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি, চাঁদপুরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, প্রথিতযশা চিকিৎসক ছিলেন। আলহাজ¦ ডা. এমএ গফুরু ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও মাজহারুল হক চক্ষু হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা। চাঁদপুরের কর্মজীবনের শুরুতেই বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২৩ আগস্ট ২০১৯