ট্রেন চললে সংসার চলে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের। তাদের ট্রেন যাত্রীরা হকার বলে জানেন। ট্রেন স্টেশন বদল হলেই বদল হয় একদল ভ্রাম্যমাণ হকারের। যারা সারাদিন ৩শ থেকে ৫শ টাকা লাভ হলেই ঘরে ফিরে যান। সন্তান ও স্বজনদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে তাদের অবিরাম এ ছুটে চলা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেসে দেখা গেল প্রায় অর্ধশত হকারকে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী রেলস্টেশনে পৌঁছালে পালাক্রমে হকারদের বিড়ম্বনার শিকার হন যাত্রীরা।
মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে দেখা গেছে, আমড়া, সিঙ্গারা, বাদাম, চিপস, পপকর্ন, আপেল, ডিম, পান, চা ও কোমল পানীয় বিক্রেতাদের হিড়িক। রেলস্টেশন বদল হলেই বদল হয় এই হকাররা।
প্রায় ত্রিশ বছর ধরে নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনে চানাচুর বিক্রি করে আসছেন আমির হোসেন (৫০)। তিনি জানান, দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হলে বাড়ি ফিরে যান। তবে রেলস্টেশনে স্থায়ী দোকানের কারণে তাদের বিক্রি কমে গেছে।
নাটোরের কাঁচা কলার তৈরি চকলেট বিক্রেতা শামীম মিয়া জানান, দৈনিক ১০০ থেকে দেড়শ চকলেটের প্যাকেট বিক্রি করতে পারেন। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে তাদের ঘরে বসে থাকতে হয়। তাই ট্রেন চললে সংসার চলে তাদের।
এছাড়াও রেলস্টেশন ও ট্রেনগুলোতে মুচি, বই বিক্রেতা, মাদরাসা মসজিদের নামে চাঁদা আদায়কারী, হিজড়া, প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষদের দেখা যায়।
মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী মনির হোসেন। তিনি হাজীগঞ্জ রেলস্টেশনে নামবেন। তিনি জানান, ট্রেনের ভেতরে নানা ধরনের মানুষ দেখা যায়। তবে হকার ও অসহায় মানুষের চিত্র দেখলে বেশি খারাপ লাগে। তবে এই হকারদের বিক্রিত খাবারের মান কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখা প্রয়োজন।
প্রতিবেদক- মনিরুজ্জামান বাবলু, ১৮ আগস্ট ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur