চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাঙন এলাকার প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি এমপি। মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে ১৫টি বসতঘরসহ ২শ’ মিটার এলাকা নদীতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সেসহ ৬শ’ মিটার এলাকা। শনিবার রাতে ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ হাজার বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি সিসি ব্লকও ফেলা হচ্ছে। এ কাজের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত ওসমান।
তিনি প্রতিদিন সকাল হলেই হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গনে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে শহর রক্ষা বাঁধটি কিভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপচারিতায় মিলিত হচ্ছেন। এর পাশাপাশি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী, দুলাল, প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী, হরিসভা মন্দির ও কমপ্লেক্স সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, পৌর কাউন্সিলর মোঃ আলী মাঝি, গভীর রাত পর্যন্ত থেকে এ কাজের বিষয়টি দেখাশুনা করছেন। তারা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাত ৯টায় নদী ভাঙ্গা শুরু হলে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম, সদর সার্কেল মো, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, আওয়ীমী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা ভাঙ্গনস্থান পর্যবেক্ষণ করছেন।
এর আগে শনিবার (৩ আগষ্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙন শুরু হয়। সকাল হওয়ার আগ মুহূর্তে ১৫টি বসতঘর নদীতে বিলিন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন থেকে তালিকা করা নদীতে বসতঘর বিলিন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো হলো, শম্ভুনাথ মজুমদার, চয়ন সাহা, দিপক দে, বিমল দে, ধ্রুব সাহা, সঞ্জয়র চক্রবর্তী, মানিক সাহা, সুশান্ত মজুমদার, মো. ওয়াহেদ আলী, আমজাদ হোসেন ও তাপস দে। এছাড়াও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলো হলো,
লিটন নন্দী, সুখরঞ্জন নন্দী, অনিল দে, লিটন দে, সুভাস দাস, বিশ্বনাথ বণিক, দুলাল বণিক, দেবু বণিক, বাপ্পি বণিক, শিশির বণিক, লিটন ঘোষ, নিতাই পোদ্দার, নারায়ন ঘোষ, শ্যামল রায়, গোপাল রায়, ভুলু দাস, সুভাষ, খোকন দাস, ভুলু দাস, দ্বিগুণ চন্দ্র, রামচন্দ্র, গনেস সরকার, সুরেশ সরকার, কার্তিক চন্দ্র সাহা, পুষ্প চক্রবর্তী, শহীদুল ইসলাম। এদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নির্দেশক্রমে ৬ বান টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, গত কয়েক বছরই একই স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। পুরাণবাজার এলাকার বাকী অংশ ভাল থাকলেও প্রায় ২শ’ মিটার এলাকায় প্রতিবছর সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাৎক্ষনিক জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে ব্লক পেলে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হবে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক, ৭ আগস্ট ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur