Home / শীর্ষ সংবাদ / ফরিদগঞ্জে সাবেক প্রেমিকের হাতে প্রবাসীর স্ত্রী খুন : অভিযুক্ত আটক
murder in faridganj

ফরিদগঞ্জে সাবেক প্রেমিকের হাতে প্রবাসীর স্ত্রী খুন : অভিযুক্ত আটক

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সাবেক প্রেমিকের হাতে গৃহবধূ খু*ন হয়েছে। ২৯ জুলাই সোমবার সকালে ওই উপজেলার ১৬ নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্থ চর মহুয়া গ্রামে এ হ*ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদা আক্তার মিশু ওই এলাকায় মৃত সেলিম মিয়ার কন্যা। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী শোহেব খান নামের অভিযুক্তকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন বলে জানা গেছে।

নিহতের মাতা সালেহা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, প্রায় তিন বছর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সালামত উল্লাহর ছেলে সোহেলের সাথে তার মেয়ে জাহেদা আক্তার মিশুর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

তিনি জানান বিয়ের আগে এক সময় তার মেয়ে একই এলাকার আবুল বাশারেন পুত্র সুজন খানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এবং তাদের মোবাইলে কথাবার্তা হতো। কিন্তু বিয়ের পর থেকে মিশু সুজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

মিশুর স্বামী কাতার প্রবাসী হওয়ায় সে যখন তার বাপের বাড়ি যেতো তখন তার সাবেক প্রেমিক সুজন খান বিরক্ত করতো। এবং তার সাথে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলতো। সুজনের কথা না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোর বেলা তার বসত ঘরে ঢুকে বটি দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে র জখম করে।

তিনি জানান সুজন দা দিয়ে এতটা এলোপাতাড়িভাবে তাকে কোপাতে থাকে যে ওই দায়ের কোপ তার মুখমণ্ডল এবং শরীরে অনেকস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে মিশু গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এসময় তার মাতা এগিয়ে আসলে সুজন তার মাকেও কোপাতে অগ্রসর হয়। পরে তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেনন।

এদিকে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে দাউদকান্দির কাছাকাছি গেলে পথি মধ্যেই সে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে নিহতের জেঠা ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সেকান্দর মেম্বার চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, এ হত্যাকাণ্ড মিশুর শশুর বাড়ির লোকজনই পরিকল্পিত ভাবে করিয়েছেন।

তার অভিযোগ মিশুর বিয়ে হওয়ার কয়েক মাস পরই তার স্বামী কাতার চলে যায়। ওই সময় তারা তাকে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে আরো সহযোগিতার জন্য তাদের কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সা দাবি করেন।। কিন্তু তারা তাদের দাবি পূরণ না করায় তার স্বামী এবং স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে এলাকার ওই বখাটে ছেলেদের কে মিশর পেছনে লেলিয়ে দেন। আর এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে আবুল বাশার ছেলে সুজন খান, শোহেব খান, এবং মিশুর স্বামীর দুই ভাই হোসেন এবং জুয়েল। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

এ বিষয়ে আর ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল রকিব চাঁদপুর টাইমসকে জানান জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন শোহেব নামে একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। আমরা খবর পেয়েছি এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার জন্য আমরা পুলিশ ফোর্স চাঁদপুরে পাঠাচ্ছি।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২৯ জুলাই ২০১৯