চাঁদপুরে ১৪ বছরের জেল খাটা আসামি ৮ বছরের শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বুধবার (১৯ জুন) ভোরে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত একজন আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা ২ নং আশিকাটি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড গাজী বাড়ির সামনে সামেদ আলী গাজীর ছেলে মোখলেস গাজী (৩৮) পাট খেতে জোরপূর্বক নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেছে।
পাট ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে তার মা উদ্ধার করে। পরে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার চিহ্নিত দালাল মৃত আলী হোসেনের ছেলে বিল্লাল খান ও ওয়ার্ড মেম্বার আলফু খান সহ কয়েকজন দফায় দফায় বৈঠক করে শিশুটিকে হাসপাতলে যেতে বাধা দেয়। পরে রাতের আধারে শিশুটির মা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজ খবর নেয়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে মডেল থানার এএসআই আবু হানিফকে পাঠায়। পরে পুলিশ ধর্ষণকারীকে না পেয়ে ও ঘটনার সাথে জড়িত তার ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শিশুর পরিবার জানায়, জাল টাকার মামলায় মোকলেস গাজী ১৪ বছর জেল খেটেছে। জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। শিশুটি স্কুল থেকে আসার পথে তাকে জোর করে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। শিশুটির গোপনাঙ্গ ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
এই ঘটনাটি এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার ও দালাল চক্র ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। ধর্ষণকারী লম্পট মুখলেস গাজী বাবুরহাট বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী। সে তার জাল টাকার ব্যবসা বাজারে বসেই পরিচালনা করে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোকলেস গাজী ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম উদ্দিন জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধান আসামিকে আটক করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত একজন আটক করা সম্ভব হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur