রং নাম্বারে পরিচয়। ছয় মাস ধরে প্রেম। ঈদ আনন্দে দেখাদেখি। দুজনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আশ্রয় নেয় আবাসিক হোটেলে। তিন দিন পর জামাই আদরে প্রেমিকার বাড়িতে হাজির। প্রেমিকা তার মা-বাবার কাছে ঘটনাটি খুলে বললো। তারপর মুসলিম সেজে হিন্দু প্রেমিকের ঠাঁই হলো কারাগারে।
এটি কোন শর্ট ফিল্ম কিংবা চলচ্চিত্রের দৃশ্য নয়। এমন ঘটনাটি ধরা পড়েছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলঘর গ্রামে। হিন্দু প্রেমিক এখন চাঁদপুর জেলহাজতে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে হাজীগঞ্জ থানা থেকে ওই প্রেমিককে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, মুসলিম সেজে প্রেমের অভিনয় করা এবং আবাসিক হোটেলে থাকার দায়ে এটি ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে।
রোববার (৯ জুন) ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রেমিকার মা-বাবা থানা পুলিশের আশ্রয় নেয়। রবিবার রাতে ওই হিন্দু প্রতারক প্রেমিক ও প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশ।
প্রতারক প্রেমিকের নাম পলাশ চন্দ্র দেবনাথ। সে কচুয়া উপজেলার চাঙ্গিনী গ্রামের শুকুমার রঞ্জন দেবনাথের ছেলে।
এদিকে ১৯ বছর বয়সী ওই প্রেমিকা হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলঘর বেপারী বাড়ির মজিবুর রহমানের মেয়ে। এরপূূূূর্বেও তার একটি বিয়ে হয়। কিছুদিন পর স্বামীর সাথে তালাক হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রেমিকা বলেন, বৃহস্পতিবার ৬ জুন থেকে ৩ দিন একসাথে হোটেলে ছিলাম। পরে আমি বুঝতে পারি সে হিন্দু। সে আমার সাথে প্রতারণা করে ধর্ষণ করেছে।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur