চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে দু’টি পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যপারে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফরিদগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে ও মামলার বর্ণনায় জানাগেছে, ধানুয়া গ্রামের সেকান্তার খান বাড়ির মৃত ইদ্রিছ খান এর ছেলে মো. আনিসুর রহমান খান (৫০) চাকরির সুবাদে পরিবার সদস্য নিয়ে ঢাকা বসবাস করেন। ঈদের উপলক্ষে গত ৬ই জুন তিনি বাড়ি আসেন।
শনিবার (৮ জুন) সকালে প্রতিবেশী শহিদ খান (৫৫) তাদের দুই বসত ঘরের মাঝখানে ফাঁকা অংশে ইটের কংক্রিট, সিমেন্ট ও বালি দ্বারা ঢালাই করছিলেন। তা দেখে ঢালাই বন্ধ রাখার জন্য তিনি শহিদ খানকে বারণ করেন। বারণ অমান্য করে শহীদ খান ঢালাই কাজ চালিয়ে যান। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বাকবিত- ও মারামারি হয়।
একপর্যায়ে আনিস খানকে মারতে দেখে তার কন্যা সানজিদা আক্তার (২৪) এগিয়ে যান। তখন শহীদ খান ও সিরাজ খান এর লোকজন সানজিদাকে বেদম মারধর ও শ্লিলতা হানি করে। বোনকে মারতে দেখে সহোদর ভাই আতিক শাহরিয়ার এগিয়ে গেলে সিরাজ ও তার পরিবার সদস্যরা তাকে ঘরে টেনে নিয়ে মারধর করে ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা মাথায় আঘাত করে।
এতে শাহরিয়ার মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হন। এরপর দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে বেশ কযেকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, আহতরা সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যপারে আনিসুর রহমান খান বলেন আমরা বাড়িতে থাকি না। এ সুযোগে সিরাজ খান, শহিদুল খান ও তার পরিবার সদস্যরা আমার জমি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমি বাড়িতে থাকাবস্থায় বাধা দিলে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। কিছুদিন পূর্বে আমার মৃত বড় ভাই এর বিধবা স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনকে জানালে তারা মিমাংসা করে দেন। আমার চাকরি ও ছেলেমেয়ের পড়ালেখার দিকে চেয়ে আমি কখনও তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার মামলা মোকদ্দমায় জড়াতে চাইনি।
অপরদিকে সিরাজ খান এর ঘরে গিয়ে কোনো পুরুষ লোক পাওয়া যায়নি। তবে ঘরে অবস্থানরত তার ছেলের স্ত্রী জান্নাত (২৮) বলেন, ঘরের বাইরে ও ভিতরে কি হয়েছে আমি জানি না এবং আমি দেখি নাই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার শ্বশুরসহ অন্যান্যরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেছেন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur