ফরিদগঞ্জের ৫নং পূর্ব গুপ্টি ইউনিয়ন ঘনিয়া গ্রামের পোতিশ বাড়ির এক সন্তানের জননী’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার (১৯ মে) বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ স্বামীর বসতঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করে।
সালমার পিতা মহসিন অভিযোগ করে বলেছেন, তার মেয়েকে হাতের রগ কেটে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে তার শশুড় বাড়ির লোকজন। পুলিশ এই ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য শাশুড়িকে থানায় নিয়ে এসেছে।
ঘনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসীর মাহফুজুর রহমানের সাথে পাশ্ববর্তী হুগলি গ্রামের মহসিন মিয়ার মেয়ে সালমা (২৪) কয়েক বছর পুর্বে বিয়ে হয়।
নিহত সালমার মাহমুদ নামে (২) বছর একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রোববার দুপুরে সালমাকে তার স্বামীর ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। এসময় তার হাতের রগ কাটা অবস্থায় দেখতে পায়।
সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) অহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সালমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে সালমার বাবা মহসিন মিয়া জানান, তার মেয়েকে শশুড় বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন । তারাই তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এব্যাপারে সালমার বাবা হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শাশুড়ী আলিমুন নেছার দাবি তার পুত্রবধু আত্মহত্যাই করেছেন। স্বামী প্রবাস থাকায় নিহত গৃহবধু সালমা তার ২ বছরের ছেলে ও শাশুড়ীকে নিয়ে ঘরে থাকেন। গৃহবধু’র সভাব চরিত্র নিয়ে কোন খারাপ অভিযোগ চোখে পড়েনি বলে বাড়ীর লোকজন জানান।
এদিকে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ রবিবার ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানা যায়। পুলিশ জানায় লাশের ময়না তদন্ত রির্পোট হাতে ফেলে বুঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। শাশুড়ীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত আটক করা হয়নি।
করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur