ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শনিবার লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মাতাব্বরহাট এলাকার মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় এর আগেও ওই বাঁধে ১০ বার ধস নেমেছে। ধসের পর বাঁধটি এবার ভাঙনে রূপ নেয়ায় চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকার নদীর তীররক্ষা বাঁধে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার ইচ্ছামত কাজ করেছেন। অনিয়মের কারণে বাঁধটিতে বার বার ধস নামছে।
গত দেড় বছরে এ বাঁধটি অন্তত ১০ বার ধসে পড়েছে। পরে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ জিও ব্যাগ দিয়ে ভরাট করা হয়। কিন্তু এতে ধস ঠেকানো যাচ্ছে না। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় এবং বাঁধে ধস নামার পর যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ায় নির্মাণ করা এক কিলোমিটার বাঁধ এখন বিলীন হওয়ার পথে।
এদিকে সর্বশেষ গত ২৪ এপ্রিল মাতাব্বরহাট মেঘনা নদীর পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আয়োজনে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন করা হয়। এরআগেও বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সড়ক অবরোধসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়।
নদী তীররক্ষা বাঁধে ভাঙনের খবর পেয়ে শনিবার (৪ মে) মাতাব্বরহাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মূসা ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে ফণীর প্রভাবে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ০.২৫ শতাংশে (সিকি কিলোমিটার) ধস নেমেছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চলছে। ধস ও ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিং করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কমলনগরে বাঁধ নির্মাণ শেষে গত দেড় বছরে অন্তত ১০ বার ধস নেমেছে।
বার্তা কক্ষ
৬ মে ২০১৯