জগদ্বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ জার্মানির ভুইটেমবের্গের উলম-এর এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । পরিবারের সঙ্গে তার শৈশব কাটে এবং শিক্ষাজীবন শুরু হয় মিউনিখে। পরে ইতালি ও সুইজারল্যান্ডে স্কুলজীবন কাটান তিনি। তিনি ১৮৯৬ সালে জুরিখের সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলে ভর্তি হয়ে পদার্থবিদ্যা ও গণিতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
১৯০১ সালে এ ডিপ্লোমা অর্জনের বছরই সুইস নাগরিকত্ব পান আইনস্টাইন। কিছুদিন পর সুইস পেটেন্ট অফিসে ‘কারিগরি সহকারী ’র চাকরিতে যোগদান করেন । সেখানে থেকেই তিনি ১৯০৫ সালে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি লাভ করেন।
তার অবিস্মরণীয় গবেষণা কর্মগুলোর অনেকটাই এখানে চাকরিতে থাকাকালেই করেছিলেন আইনস্টাইন। বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পদে অধ্যাপনা করেন আইনস্টাইন। ১৯১৪ সালে কাইজার ভিলহেম ফিজিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং ওই বছরই জার্মানির নাগরিকত্ব লাভ করেন আইনস্টাইন।
রাজনৈতিক কারণে নিজের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি বার্লিনেই ছিলেন। পরে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়ে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং ১৯৪০ সালে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আইনস্টাইনকে নবগঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন এবং ডক্টর শাইম ওয়াইজমানের সঙ্গে মিলে জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করেন।
১৯১৬ সালে আইনস্টাইন তার বিখ্যাত ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি’-এর তত্ত্ব প্রকাশ করেন। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী আইনস্টাইন জীবনের বড় সময়ই বিজ্ঞান সাধনার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় মগ্ন ছিলেন এবং সংগীত ছিল তার অবসরের সঙ্গী।
১৯০৩ সাল মিলিভা মারিককে বিয়ে করেন এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা হন আইনস্টাইন। ১৯১৯ সালে এই বিয়ে ভেঙে গেলে চাচাতো বোন এলসা লুয়েনথালকে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী ১৯৩৬ সালে মারা যান। ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল নিউ জার্সির প্রিন্সটনে মৃত্যুবরণ করেন
সম্পাদনায় : আবদুল গনি
এপ্রিল ২২, ২০১৯