নববর্ষের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে জেলাসহ জেলার বাহিরে থেকে আগত পর্যটকের মিলনমেলা বসেছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর ত্রি-নদীর মোহনায়। রেল, সড়ক ও নৌ পথে হয় তাদের যাত্রা। আর রেল পথে ট্রেনের ছাদে করে ঝুঁকি নিয়েই চাঁদপুর মোল হেডে আসতে দেখা যায় অসংখ্য পর্যটকদের।
বাংলা বছরের প্রথম দিন রবিবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলো পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। ভিতরে জায়গা না পেয়ে জেনে শুনেও ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে করে চাঁদপুরে আসতে দেখা যায় ভ্রমণ পিপাসুদের।
চৈত্রের শেষ দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার এবং ১৪ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত চাঁদপুরের চিরচেনা তিন নদীর মোহনা ‘বড় ষ্টেশন মোলহেডে’ হাজারো পর্যটকের ঢল নেমেছিল। বাংলা নতুন বছরের ছুটিতে বাড়িতে আসা বিনোদন প্রিয় মানুষের যেন বাঁধভাঙ্গা জোয়ার বইছে ওই এলাকায়। বিশেষ করে উঠতি বয়সের কিশোর যুবকরা এখানে আসতে দেখা যায়। সেই সাথে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়েও এসেছে এই পর্যটন কেন্দ্রে।
নববর্ষের ছুটিতে অনেকেই দীর্ঘ দিন পর এসেছেন গ্রামের বাড়িতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুপুরের পর থেকে তারা ছুটে আসে চাঁদপুরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ত্রি-নদীর মোহনায়। সেই সাথে রয়েছে পদ্মা-মেঘনা বুকে জেগে ওঠা বালুর চর। যা সম্প্রতি মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত।
সেখানেও হাজার হাজার পর্যটকদের এক মিলনমেলা। যদিও এর পরতে পরতে রয়েছে ঝুঁকি আর বিড়ম্বনা। সকালের চেয়ে বিকেলের দিকে পর্যটকদের ভিড় বেশী হয়। বিকেলের আবহাওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে ঘুরে ফিরে আনন্দ করে।
দিনের ক্লান্তিময় লাল আভার সূর্যের অস্তমিত দৃশ্য দেখতেই এ স্থানে মানুষ ছুটে আসে। এখানে দাঁড়ালে খুব স্পষ্টভাবে পশ্চিম দিগন্তের সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই মিলনস্থলে সূর্যাস্তের দৃশ্য সমুদ্র সৈকতের দৃশ্যকেও হার মানায়।
বার্তা কক্ষ
১৫ এপ্রিল,২০১৯