চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে কালির বাজারে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় মধ্যবাজারে উক্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫টি দোকানের মালামাল ও অবকাঠামো পুড়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, রাত আড়াইটার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় বাজারে আগুন লেগেছে মর্মে বাজার ও স্থানীয় অন্যান মসজিদে ঘোষনা করা হয়। স্থানীয় লোকজন বালতি/ গামলা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলে চাঁদপুর নতুন বাজার, পুরান বাজার ও রায়পুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ভোর সাড়ে ৫টার সময় আগুন সর্ম্পন্ন নিয়ন্ত্রনে আনে।
কিন্তু,এরই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় জননী ভ্যারাইটিজ স্টোর প্রায় ৩৫/৪০ লাখ, বাবু ক্রোকারিজ স্টোর ৭/৮ লাখ, শহীদ ক্রোকারিজ স্টোরের গোডাউনে ৩ লাখ, রাজ্জাকের মুরগীর দোকানে ২ লাখ, হেলালের মুরগীর দোকানে দেড় লাখ টাকার মালমাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
এছাড়া আগুন থেকে মালামাল রক্ষা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের পাশ^বর্তী ফরিদের কাপড়ের দোকান, বুলবুল মেডিকেল, সাহাবুদ্দিন টেলিকম ও হারুন ক্লথ স্টোর নামে চারটি প্রতিষ্ঠান কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ক্ষতিগ্রস্থ জননী ভ্যারাইটিজ স্টোরের সত্ত্বাধীকারী মো.জাকির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, রাতে অগ্নিকান্ডের খবর শুনে বাজারে এসে দেখি মালামাল সহ আমার দোকানটি পুড়ে যাচ্ছে। তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার সারা জীবনের অর্জিত পুঁজি মহুর্তের মধ্যে পুড়ে শেষ হয়ে গেলো।
এবিষয়ে চাঁদপুর নতুন বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন সহকারী ফরিদ আহম্মেদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, চাঁদপুরের ৩টি ও রায়পুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে আগুনে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলী আফরোজের কাছে জানতে চাইলে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, কালির বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবরটি আমি জানিনা। এখন যেহেতু আপনার মাধ্যমে জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাজার ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারণে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যাপকহারে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। পাশ্ববতী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই সব পুড়ে ছাঁই হয়ে যাচ্ছে। ফরিদগঞ্জে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে এই ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা যেতো। দ্রুত ফরিদগঞ্জে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র কালির বাজারে এ পর্যন্ত ৫ বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ড ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব করে দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদক:আতাউর রহমান সোহাগ
২৯ মার্চ,২০১৯