ওরা ১১ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি জুয়া খেলা ছিল তাদের নেশা। জুয়ায় হারলে পাগলপ্রায় হয়ে উঠতো। তখন নগদ নারায়নের জন্য কখনো বাড়িতে আবার কখনো রোডে ডাকাতি করে মানুষের সর্বস্ব লুটে নিত।
মতলব উত্তর থানার শীর্ষ তালিকাভূক্ত মাদক সম্রাট রাসেল(২৮) এর পুলিশের নিকট ও আদালতে ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এরকম তথ্য বেরিয়ে আসে। সে গালিমখাঁ গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে।
গ্রুপটির দলনেতা কুখ্যাত মাদক ও ডাকাত সম্রাট ১১ মামলার আসামী রাসেলকে ২০ মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গালিমখাঁ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
সেই সাথে ৬৩ দিন পূর্বে সংঘটিত একটি দুর্ধর্ষ রোড ডাকাতি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় টিম মতলব উত্তর থানা পুলিশ।
চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি ভোর রাত প্রায় সাড়ে ৩ টার দিকে ১১ জনের এই সংঘবদ্ধ ডাকাতদল কুখ্যাত মাদক ও সম্রাট রাসেল এর নেতৃত্বে মতলব উত্তর থানাধীন হরিনা-ঘাসিরচর সড়কে রাস্তায় গাছ ফেলে মাইক্রো আটকিয়ে দুঃসাহসিক এ ডাকাতির ঘটনাটি সংঘটন করে।
মামলার সংঘটিত ডাকাতি ঘটনাটির তদন্তকালে অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মুরশেদুল আলম ভূঁঞা, সেকেন্ড অফিসার এসআই ইসমাইল হোসেন, এসআই ফিরোজ আলম, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা, এএসআই হাবিব, এএসআই মোস্তফা, এএসআই নাহিদ, এএসআই হানিফ ও অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত টিম উত্তর মতলব থানা পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটণার সমসময় ও ঘটণাস্থল নিয়ে কাজ করে স্থানীয় একটি ডাকাত গ্রুপকে উক্ত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মর্মে সনাক্ত করে।
ধৃত রাসেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার নেতৃত্বে ১১ জনের ডাকাতদল কর্তৃক রাস্তায় গাছ ফেলে এ ডাকাতির ঘটনা সংঘটনের কথা স্বীকার করলে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আসামি বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কার্তিক চন্দ্র ঘোষ এঁর আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষস্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি শেষে ডাকাত রাসেল’কে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেট
২২ মার্চ,২০১৯