নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় চাঁদপুরের পালবাজারে ক্রেতাদের কাজ থেকে চড়া মূল্যে গরুর গোশতের দাম আদায় করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুরের অন্যান্য স্থানে ৫শ’ টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রি করা হলেও শুধুমাত্র পালবাজার ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৫শ’ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ওই বাজারে নির্দিষ্ট দামের চেয়ে ১,শ থেকে ৫০ টাকা বেশি ধরে ক্রেতাদের কাছ থেকে গোশতের দাম আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী এই পালবাজারে সর্বমোট ১৮ টি গোশতের দোকান রয়েছে। এরমধ্যে খাসির গোশতের দোকান ৫ টি আর গরুর গোশতের দোকান ১৩ টি। অসাধু ব্যবসায়ীরাই বিভিন্ন অযুহাতে ক্রেতাদের কাছ থেকে চড়া মূল্য আদায় করে নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে পালবাজারের হারুন বেপারী, মোতা মালসহ বিভিন্ন গরুর মাংসের দোকানে গিয়ে দেখাযায়, তারা প্রতিকেজি বিক্রি করছেন, সাড়ে ৫,শ ৬শ টাকা ধরে। হাড়সহ প্রতিকেজি সাড়ে ৫, শ টাকা বিক্রি করছেন। হাড় ছাড়া প্রতিকেজি গোশতের দাম রাখছেন ৬, শ টাকা।
পালবাজার গোশত ব্যবসায়ীরা নিয়ম ভঙ্গ করে গত কয়েকদিন ধরে এভাবেই ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত গোশতের দাম আদায় করছেন।
চাঁদপুরের অন্যান্য বাজারের চেয়ে কেনো তারা অধিক দামে গোশত বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ী হারুন বেপারীসহ ক,জন ব্যবসায়ী জানান, গরু আমদানিতে সীমান্ত বন্ধ থাকার কারনে বাংলাদেশে কোন গরু আসছে না। তাছাড়া দেশে ও তেমন কোন গরু পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বেশি দাম দিয়ে গরু ক্রয় করতে হয়, সেজন্য তারা ৫০ টাকা বেশি ধরে গোশত বিক্রি করছেন।
অথচ চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী বিপনীবাগ, নতুন বাজার, পুরান বাজার, ওয়্যারলেস বাজার, বাবুরহাটসহ অন্যান্যস্থানে প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি গরুর গোশত বিক্রি করছেন ৫, শ টাকা কেজি ধরে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তারা যেভাবে বেশি দাম দিয়ে গরু ক্রয় করছেন।
একই ভাবে পালবাজার গোশত ব্যবসায়ীরা তা ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু দেখা গেছে চাঁদপুরের সবখানে ৫, শ টাকা কেজি ধরে গরুর গোশত বিক্রি করা হলে ও পালবাজার ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের জন্য নিয়ম ভেঙ্গে অতিরিক্ত দামে গোশত বিক্রি করে যাচ্ছেন। আর তারা এমন অনিয়ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রশাসনের ঠিকমতো বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে।
এই বিষয়ে জেলা মার্কেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম জানান, সারা বাংলাদেশে হঠাৎ করে গরু সংকটে দাম বেড়ে গেছে। এছাড়াও আমরা আরো দু, একটা অভিযোগ পেয়েছি। সেজন্য গত সোমবার বিপনীবাগে বাজার মনিটরিং করেছি। তারা গোশতের দাম ৬,শ টাকা কেজি চাওয়ায় আমরা তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এমনকি প্রত্যেক গোশতের দোকানে বাধ্যতামূলক মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমরা চট্রগ্রামেও দুটি বাজার মনিটরিং করেছি, সেখানে চাঁদপুরের চেয়ে গোশতের দাম আরো বেশি। তারপরেও আমরা আরো ভালো করে মনিটরিং করে জানবো কেনো হঠাৎ করে গোশতের দাম বাড়তি রাখছে। সে বিষয়ে মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিবো।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
১২ মার্চ, ২০১৯