স্বামী পরিত্যাক্তা জিলহজ বেগম (৯০) স্বামীকে হারিয়েছেন প্রায় ৪০ বছর আগে। এ বয়সে এসেও প্রতিনিয়ত এলাকার রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে মানুষের কাছে ভিক্ষে করে জীবন জীবিকা চালাচ্ছেন। সে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খিলমেহের গ্রামের মৃত: আদম আলীর স্ত্রী।
এক মেয়ের অভাবী সংসার তার।মেয়েও অন্যের বাড়িতে ভিক্ষা কিংবা কাজ করে জীবন চালান।অভার আর হাহাকারে দিন কাটানো জীবন জিলহজ বেগম নামে যেন জীবন বাঁচিয়ে রেখেছেন।
বিধি মোতাবেক বিধবা ভাতা পাবার কথা থাকলে কখনো সে এই ভাতা পায়নি। ভাগ্যে বিধবা ভাতা না জোটায় বর্তমানে তিনি মানুষের বাড়িতে কাজের বিনিময়ে দু’মুঠো আহার খেয়ে কোন মতে জীবন পার করছেন জিলহজ বেগম। ভূমিহীন জিলহাজ বেগম আর কত বয়স হলে তিনি পাবেন বয়স্ক ভাতা!
জিলহজ বেগম অশ্রুসিক্ত কান্না ভেঙ্গে পড়ে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত আমি কোনো ধরনের সরকারি ভাবে সুযোগ সুবিধা পাইনি। বরং কোন বয়স্কভাতা ও বিধবা ভাতাও পাইনি। কোনো মতে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করি। আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ কোনো ভাতা প্রদান করেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুস সামাদ চাঁদপুর টাইমসকে আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি কেউ জানাননি। আমার সাথে যোগাযোগ করলে তাকে বিধবা ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
তবে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ওই বিধবার আইডিকার্ড সমস্যা থাকায় তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। আইডিকার্ড পাওয়া গেলে শীঘ্রই সুবিধা ভোগের আওতায় আনা হবে।’
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে আমরা উপকার ভোগীদের তালিকা তৈরি করে থাকি। তবে জিলহজ বেগম বয়স্ক ভাতা না পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
১১ মার্চ,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur