Home / সারাদেশ / মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে রাজধানীজুড়ে ম্যানহোল
মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে রাজধানীজুড়ে ম্যানহোল
রাজধানীতে মরণফাঁদ- ম্যানহোল

মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে রাজধানীজুড়ে ম্যানহোল

হাসান সাইদুল :

নগর নির্বাচন শেষে নির্বাচিত দ্ইু মেয়র (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ) সহ সকল মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্র“তি ছিল স্বচ্ছ ও স্মার্ট বাসযোগ্য নগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলা। নির্বাচনী প্রচারকালে অনেককেই দেখা গেছে রাস্তা ঝাড়– ড্রেন পরিস্কারসহ অন্যান্য দিনমজুরী কাজের শুট্যিং এ। বর্তমান দুই নগর নেতা কেমন ঢাকার স্বপ্ন দেখেন সে কথা আগেই জানিছেন। দেয়া কথা রাখা ও বাস্তবায়নের সুযোগ যেহেতু চেয়েছেন সুযোগ পেয়েছেন অনেকের মাঝে দুই জন। আমাদের তথা নগর ঢাকার কি অবস্থা বিচার বিশে¬ষণ করে দেখা যাবে। কেমন আছেন ঢাকা নগরবাসীরা সেই প্রশ্নই এখন জনমনে। পরিস্কার পরিছন্ন স্মার্ট ঢাকা পেতে যাচ্ছেন তো নগরবাসী?

বাশতলা ক্যাব্রিয়ান কলেজের পাশ ঘেষে একে বেকে রাস্তা চলে গেছে নুরেরচালা হয়ে বাটারা। রাস্তার এ পাশ ও পাশে চলছে ড্রেন পরিস্কার আর বিদ্যুতের নানান কাজ এ কাজের ফল হয়তো শুভ হওয়ার কথা কিন্তু কাজের চলতি সময়ে হাজারো ভোগান্তিতে উত্ত্যক্ত নগরীর এই এলাকাবাসী। গত কাল কথা হয় নব্য মদিনা বেডিং স্টোরের পরিচালক মিজানুর রহমান প্রধানের সাথে চলছে গরম সে সাথে রাস্তার মাঝে ঢাকনা ছাড়া ম্যানহোল সে সাথে খানাখন্দে ভরা এই সড়কে নতুন দোকান দিয়ে কতটুকু আশাবাদী প্রশ্ন করলে মিজান বলেন, দোকান দিছি এর অর্থ ব্যবসা করুম সংসার চালামু। কিন্তু মহল¬ার রাস্তাঘাটের যে অবস্থা দোকান চালানো ধায় হইয়া যাইবো

কারণ জানতে চাইলে বলেন, দোকান দিছি কাস্টমার আইলে বেচাকিনা অইবো রাস্তাঘাট যদি ঠিক না থাকে হাটা চলাফেরায় যদি কষ্ট অয় কাস্টমার আইবো কেমনে।

রাস্তা ঘাট সচল ও ম্যানহোলের ঢাকনা লাগানো বৃষ্টি হলে যেন রাস্তাঘাটে পানি না জমে সে আশাই ব্যক্ত করেছেন মদিনা বেডিং স্টোরের পরিচালক মিজান। অন্তত হাটার রাস্তাটা যেন সচল ও স্বচ্ছ হয় সে জন্য দোয়া করছেন আল¬াহর কাছে কেননা কাস্টমার আসতে না পারলে হয়তো তার ব্যবসায় ব্যঘাত ঘটবে

রাজধানীতে ১৫ হাজারের বেশি ম্যানহোল :

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগরে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি ম্যানহোল রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই ঢাকা ওয়াসার। বাকিগুলো হচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি (বিটিসিএল) ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির। এছাড়াও গ্রামীণফোন, বাংলালিংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেরও ম্যানহোল সদৃশ গভীর গর্ত রয়েছে। প্রযুক্তিগত বিভিন্ন কারণেই গভীর গর্ত করে মাটির নিচে যন্ত্রাংশ অথবা ক্যাবল স্থাপন করতে হয়। বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠান গর্তে উপরিভাগে ঢাকনা লাগিয়ে দিলেও ম্যানহোলের এসব ঢাকনা প্রায়ই চুরি হয়ে যায়। নগরীর ফকিরাপুল, মতিঝিল, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, বাসাবো, গোড়ান, তালতলা, শান্তিনগর, মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, রাজারবাগ, মুগদা, জুরাইন, গোপীবাগ, শহীদবাগ, কদমতলা, সবুজবাগ, ইসলামবাগ, চকবাজার, নয়াবাজার, সূত্রাপুর, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অসংখ্য ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল দেখা গেছে।

গর্তে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে শিশু জিহাদ :
সম্প্রতি রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠে খেলার সময় পরিত্যক্ত একটি গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছর বয়সী শিশু জিহাদ। তবে ঘটনার ২৫ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস অভিযান স্থগিত ঘোষণা করার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। পরে জিহাদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় ঠিকাদাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক ও রেলের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জিহাদের বাবা নাসির ফকির। মামলা করা হলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

ম্যানহোলের বিষাক্ত গ্যাসে দুই নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু :
রাজধানীর মুগদা এলাকায় ম্যানহোলের আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে দিলা মিয়া (৫৫) ও নুরু মিয়া (৬০) নামে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। একই সময় বাবলু নামে অপর এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ বলছে, ম্যানহোলের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে দিলা ও নুরু মিয়ার মৃত্যু হতে পারে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাবুল জানান, বেলা দুইটার দিকে দিলা ও নুরু মিয়া ম্যানহোলে নামেন। তারা ভেতর থেকে আবর্জনা বের করে আনলেও কিছুক্ষণ পর আর সাড়া পাওয়া যায়নি। এর আধঘণ্টা পর তিনি নিজেও ম্যানহোলে নামেন। ওই সময় তার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে ম্যানহোলের ভেতর অচেতন দিলা ও নুরু মিয়াকে দেখতে পান তিনি। পরে তার আর কিছু মনে নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ড্রেন বা সুয়ারেজ লাইনের পানি, ময়লা, আবর্জনা পরিষ্কার না করলে প্রাণঘাতী বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পানি সরার পথ বাধাহীন করতে হবে। ময়লা-আবর্জনা জমে গেলে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিটি কর্পোরেশন বা ওয়াসা এ ব্যাপারে উদাসীন।

বেশিরভাগ ঢাকনাই চুরি হয় :
ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হওয়ার বিভিন্ন কারণ অনুসন্ধান ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী জানা যায় বেশিরভাগ ম্যানহোলের ঢাকনা চুরির কারণে উন্মৃক্ত থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরনো ম্যানহোলের ঢাকনা ভেঙেও গর্তের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ম্যানহোলের ঢাকনা চুরিতে প্রধানত দায়ী ফেরিওয়ালা, মাদকাসক্ত ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। অভিযোগ আছে, ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হওয়ার পর সিটি করপোরেশন ও ওয়াসা এগুলো সময়মতো পুনঃস্থাপনের ব্যাপারে উদাসীন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করেও তেমন লাভ হয় না। পারস্পরিক দোষারোপের মধ্য দিয়েই পার পেয়ে যায় দোষী সংস্থাগুলো।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশুরা :
ম্যানহোলের মরণফাঁদ মানুষের গতিময় জীবনকে অকালে থামিয়ে দিতে পারে। শুধু যে ঢাকনা ছাড়া ম্যানহোল তাও নয়, ভারী যানের চাপে রাস্তার মাঝখানে নিন্ম মানের ম্যানহোল ভেঙে বড় বড় আকৃতির গর্তগুলো যে কোনো সময়, বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ উদাসীন হলেও, এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে এসব ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল অথবা গর্তে কঞ্চির মাথায় রঙিন কাপড় বেঁধে সতর্ক চিহ্ন দিয়ে রেখেছেন। আবার অনেক স্থানে গাছের ডালপালা-বাঁশ পুঁতে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এসব দেখে বড়রা সতর্কতার সঙ্গে হাঁটাচলা করতে হলেও সবচেয়ে হুমকির মুখে আছে স্কুলগামী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

উঁচু নিচু বিপজ্জনক ম্যানহোলের ঢাকনা :
ঢাকনা ছাড়া ম্যানহোলগুলো যেমন পথচারী এবং যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো উঁচু বা নিচু হয়ে থাকাটাও ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রাস্তায় এমন অসংখ্য অনিরাপদ ম্যানহোল রয়েছে। রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি হল ঢাকা-ময়মনসিংহ রুট। এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। কোনো ধরনের সিগন্যাল বা বাসস্ট্যান্ড না থাকায় উত্তরা থেকে বনানী পর্যন্ত বেশ উচ্চ গতিতে গাড়ি চলাচল করে এ রাস্তায়। রাস্তাটির উত্তরা থেকে বনানী পর্যন্ত অংশে বেশ কয়েকটি ম্যানহোলের ঢাকনা এমনভাবে ঢালাই দেয়া হয়েছে যেগুলো রাস্তা থেকে বেশ উঁচু হয়ে আছে। উচ্চ গতিতে চলাচল করা গাড়িগুলোর জন্য এগুলো বিপত্তির কারণ। বিশেষ করে মোটরসাইকেল এবং সিএনজির জন্য।

সিএনজিচালক রহমত বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর সময় বেশিরভাগ সময় এ ম্যানহোলে ঢিবিগুলো চোখে পড়ে না। ফলে মাঝে-মধ্যেই বিপদের আশঙ্কা দেখা দেয়। মিরপুর টু নিউমার্কেট রোডেও এমন অসংখ্য উঁচু নিচু ম্যানহোলের ঢিবি চোখে পড়ে। প্রকৌশলীদের অবহেলায় গড়ে ওঠা এসব ম্যানহোল যে কোনো সময় পথচারীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কলাবাগান ফুটওভার ব্রিজের নিচে রাস্তার দুই পাশেই গর্তাকার দুটি ম্যানহোল যে কারও চোখে পড়বে। ম্যানহোল দুটির ঢাকনা এত নিচু করে লাগানো হয়েছে যে, সেটাকে গর্ত ভেবে ভ্রম হয়। পথচারীরা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এ গর্তগুলোতে ধাক্কা খায়। এ রাস্তা ধরেই যাতায়াত করেন মোটরসাইকেল আরোহী রাজু। তিনি বলেন, এ গর্ত দুটিতে প্রায় ধাক্কা খেতে হয়। মাঝে-মাঝে কিছু দুর্ঘটনার কথাও শুনি। তিনি রাস্তার সমতল করে ম্যানহোল দুটি মেরামত করার আহ্বান জানান।

নিয়মনীতি না মেনেই চলে খোঁড়াখুঁড়ি :
এটা একটা অতি পুরনো ব্যাধি। নগরজুড়ে খোড়াখুড়ি চলে বছরব্যাপী। রাজধানীর সড়ক খনন ও পুনঃনির্মাণের জন্য একটি নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় খুবই কম। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) নিজেরা যেমন সুনির্দিষ্টভাবে এ নীতিমালা অনুসরণ করে না, তেমনি অন্য সেবা সংস্থাগুলোকেও তা মানানোর দরকার মনে করে না। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত সবসময়ই ঢাকা ওয়াসা ও তিতাসের খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও রাজপথে সৃষ্টি হয় অসংখ্য খানাখন্দ। কাজ শেষ হলে এসব গর্ত ঠিকমতো এবং সময়মত ভরাট করে না এসব প্রতিষ্ঠান। পানির সরবরাহ লাইন, সওয়ারেজ লাইন আর নতুন পাইপলাইন বসানোর নামে ওয়াসার গভীর গর্ত খোঁড়াখুঁড়ির কাজ সারা বছরই চলতে থাকে। পরবর্তীতে এসব গর্ত থেকেই যায়।

সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়ক খনন সমস্যা কমিয়ে আনতে ২০০৩ সালে ঢাকার সড়ক খনন নিয়ন্ত্রণ ও পুনঃনির্মাণের জন্য একটি নীতিমালা প্রণীত হয়। নীতিমালায় খনন শুরুর ১৫ দিন আগে এলাকায় মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা, প্রয়োজনীয় জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া, সাইনবোর্ডে খননের উদ্দেশ্য এবং কাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। এতে বলা হয়, অনিবার্য না হলে খননকাজ শুধু রাতেই হবে এবং সকাল হওয়ার আগে খনন করা মাটি বা রাবিশ সরিয়ে নিতে হবে।

নীতিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানে বলা হয়েছে, কোনো প্রধান সড়ক খননের জন্য একবার কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেয়ার পর অপরিহার্য না হলে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে ওই সড়কে আর কাউকে খননের অনুমতি দেয়া হবে না। নগরীর সড়ক খনন করতে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এসবের সমন্বয় করার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। তবে এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রাজধানীতে চলে খনন কাজ। কার দায়িত্ব, কার কর্তব্য এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই একেবারেই।

খবর পেলেই ঢাকনা লাগিয়ে দেয়া হয়
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ম্যানহোলটা আসলে কিসে হয়? পানির লাইনে তো আর ম্যানহোল হয় না। ম্যানহোল আসলে স্টপ ওয়াটার ড্রেনেজ লাইনে হয়। আর এ ড্রেনেজ লাইনগুলো দুই সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা আর সামান্য কিছু করে রাজউক। তবে বেশিরভাগ ম্যানহোল ডিসিসির আর কমভাগ ঢাকা ওয়াসার। ঢাকা ওয়াসার অংশে যেগুলো রয়েছে, সেগুলো প্রত্যেকটি ম্যানহোল কভার দেয়া হয়। দেয়ার পর যদি সেগুলো চুরি হয় তারপরও ওয়াসা খবর পেলেই ঢাকনা লাগিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণত কাস্ট আয়রনের শক্তিশালী ঢাকনা দেই। আমাদের জানামতে রাজধানীতে ওয়াসার কোনো ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল নেই। তবে দুঃখের হলেও সত্য মাঝে মধ্যেই হেরোইন খোররা ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পুনঃস্থাপন করা হয়। তবে এবার আমরা একটি নতুন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি, সেটি হলো ঢাকনাগুলোতে প¬াস্টিক মিশিয়ে দিতে চাই যেন, মাদকসেবীরা সেটি বিক্রি করেও বেশি সুবিধা করতে না পারে। ডিপটিউবওয়েল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজধানীতে ওয়াসার ডিপটিউবওয়েল আছে ৬৭৯টি। সব টিউবওয়েলই সচল রয়েছে, ২-৪টি অচল থাকলেও সেগুলো সংরক্ষিত কেপিআই এলাকায়। যেখানে বাইরের লোকের প্রবেশ নিষেধ।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হকে টিএন্ডটি নম্বরে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীন বলেন, ম্যানহোল সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেইনলি দেখে প্রকৌশল বিভাগ। তিনি বলেন, রাজধানীতে কিছু ম্যানহোল আছে ওয়াসার, কিছু আছে সিটি কর্পোরেশনের। আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের লোকজন সবসময় মাঠে থেকে প্রকৌশল বিভাগকে সহায়তা করি। সিটি কর্পোরেশনের আওতায় যে ম্যানহোলগুলো রয়েছে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ সিটি কর্পোরেশন করে। যদি কোথাও খবর পাওয়া যায় ম্যানহোলের ঢাকনা নেই বা চুরি হয়ে গেছে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে ঢাকনা পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করে ডিসিসি।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

 

নিয়মিত ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes

চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।