চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ব্যস্তময় একটি সড়ক পৌরসভা ও (এলজিইডি)’র রশি টানাটানিতে গত এক যুগ ধরে নরকযন্ত্রনায় ভূগছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকরা।
একটু বৃষ্টি হলেই এ সড়কের বিভিন্ন অংশে কাদা-পানি থিক থিক করে। হাঁটাও প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। বর্তমানে এ সড়কে চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে কংগাইশ গ্রামের ভেতর দিয়ে হাটিলা সড়কটি স্থানীয় হাড়িয়ান আড়ং বাজারে গিয়ে মিশেছে। সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র দুই কিলোমিটার। ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে এ সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার অংশ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্পেটিং করে।
তারপর থেকে অধ্যাবধি পর্যন্ত কোন সংস্কার হয়নি। সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার অংশে উন্নয়নকাজ করা হয়নি। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মাইক্রো, সিএনজি, অটোবাইক। এতে বিভিন্ন অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি জমে এসব গর্তে।
কংগাইশ গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর নুরুল হোসেন মিয়াজী চাঁদপুর টাইমসে বলেন, এ সড়কপথে প্রতিদিন ঘরমুখী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
আলীগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক জুয়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের দুর্গতির সীমা নাই। বর্ষায় কাদা মাড়াতে হয়, আর শুকনা মৌসুমে ধুলায় “গোছল” করতে হয়।’ প্রায় ১ যুগ ধরে আমারা এমন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিকার্থী, কর্মজীবী, খেটে খাওয়া হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। বর্তমানে সড়কের কর্দমাক্ত অংশে বড় বড় গর্ত গভীর হয়ে কুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়িত ঘটছে নানান ধরনের দুর্ঘটনা। আর এতে করে সাধারন মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়নের চিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়।
৮নং হাটিলা (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল মুঠোফোনে বলেন, এ বেহাল রাস্তা নিয়ে তিনি বির্বত। হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র রশি টানাটানিতে অধ্যাবধি পর্যন্ত কোন সংস্কার কাজ হয়নি। আশু সমাধান না হওয়ায় পাওয়া যায়নি কোন বরাদ্দ। তাই মেরামতও করা হয়ে ওঠে না। জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে।
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
২ মার্চ, ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur