দুর্বলের স্থান নহে
চোখে অসংখ্য দৃশ্য নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকে পৃথিবী
চোখে নাই জল মন্থর নিথর
নীরব সাক্ষী শতাব্দী ।
নিশ্চুপ একাকী দেখে যায় শুধু
অন্যায় অত্যাচারের কারবার
কেমন ভালো থাকে অন্যায়কারীরা
ন্যায়ের রাজার চারধার ।
ফেনিয়ে উঠলেও ভালো কথা
বলতে তুমি পারবে না
গলা টিপে মেরে ফেলবে
আইনের ধার ধারবে না ।
যৌতুকের বলি তাজা রক্ত
এসিডে ঝলসানো মুখ
গলায় দড়ি সিলিংয়ে ঝুলন্ত মেয়ে
মা দেখে থাপড়ায় বুক ।
দুর্বল যারা মরে যে তারাই
সবলের হাতে আইন রয়
টাকার জোরে ক্ষমতার চাপে
আইন তাদের কথা কয় ।
সব দেখেও পৃথিবী কেন
জানি না রয় নিশ্চুপ
সারা পৃথিবী ধ্বংসে তৈরি
হয় না কেন মৃত্যুকুপ ।
মরা আকাংখা
রজনী হায় বৃথা চলে যায়
প্রাণের সখা নাই
বৃথা আমি বাসর রাতের
কন্যা নিজেকে সাজাই ।
নয়নে জল ঝরে অবিরল
শুকায় মিলনমালা
কবে বল শেষ হবে
অশ্রু ঝরার পালা ।
বৃথা আশা মিছে ভালোবাসা
মিছে এই অভিসার
সবই ব্যর্থ হয়েছে আজ
ব্যর্থ হয়েছে উপহার ।
পূর্ণিমা চাঁদ উঠেছিল
আলো দিয়েছিল ভূবনে
দখিনা বাতাসে ছন্দ ছড়িয়ে
তুমি শুধু এলে না জীবনে ।
এই যে রজনী ও প্রাণসজনী
যায় যে চলে বৃথা
সব স্বপ্নের মরণ হয়েছে
আশার জ্বলেছে চিতা ।
যৌবনের দাবি ফেরাবো কেমনে
সে কথা বলে যাও
কিছুতো বল না নীরব থেকে
আমারে শুধু কাঁদাও ।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫