চাঁদপুরের হিমাগারগুলোতে পুরনো সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন আলু অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। নতুন আলু বাজারে আসায় পুরানো আলুর আর চাহিদা নেই। এ অবস্থায় হিমাগারে আলু রাখা চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
কৃষকরা জানান, তিন বছর এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন পাগল হওয়ার দশা। ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে এখন বিক্রি হচ্ছে না। নতুন আলু বাজারে আসায় পুরনো আলুর চাহিদা নেই। কম দামে বিক্রি করতে গেলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে এসব আলুতে পচন ধরেছে। হিমাগারের ভাড়াও দিতে পারছেন না তারা। হিমাগার খালি করতে যেকোনো মুহূর্তে কর্তৃপক্ষ এসব আলু বাইরে ফেলে দেবে। এক কথায় এসব আলু এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এসব আলু রফতানির ব্যবস্থা করলে কিছুটা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।
বাবুরহাট বিসিক মনোহারখাদি কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মো. রুহুল আমিন সিদ্দিক জানান, চাঁদপুরের ১৩টি হিমাগারে প্রায় ৩৫০০ মেট্রিক টন আলু এখনও অবিক্রিত রয়েছে। এই পরিমাণ আলু বর্তমানে বিক্রির কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে আলু চাষি ও হিমাগার মলিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
১৫ জানুয়ারি,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur