Sunday, 10 May, 2015 10:18:10 PM
জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ:
হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখাযায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগল এস এ পরিবহনের পেছনে মাটির নিচ দিয়ে প্লাস্টিক পাইপের বিতরে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন।
জানা যায়, ওই এলাকার দুলাল মিয়ার মিটার থেকে প্রায় ৩শ ফুট দূরত্ব মাটির নিচ দিয়ে কাদের হোসেনের ৪র্থ তলা ভবনে ও জামায়াত নেতা আলম মিয়ার ৬ তলা ভবনের প্রায় ১৫টি পরিবার মাসের পর মাস অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। আর এদের এ সুযোগ টাকার বিনিময়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের শাহাজাহান নামের কর্মকর্তা অনুমদোন দেয় বলে স্বীকার করেন দুলাল ও কাদের ভবনের মালিকের স্ত্রী । প্রতি মাসে জরিমাণা বাবদ ১৫শ টাকা করে দেয় বলে তারা জানায়।
দ্বীর্ঘ প্রায় ৮ মাস ধরে অবৈধ সংযোগটি মাটির নিচ দিয়ে চলে আসলেও শনিবার দুপুরে ঐ পথে একটা ৮ বছরের শিশু শক খেয়ে আটকে পড়লে আসে পাশের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখে আধা ফুট মাটির নিচ দিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎতের লাইন।
এ খবরে এলাকায় হুই চই শুরু হলে ভবনের মালিকরা গাঁ ডাকা দেয় এবং পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইন ম্যান এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় । প্রত্যক্ষদশী স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি হাজী কবির হোসেন বলেন, এমন বিপদজনক বিদ্যুতের সংযোগ মানুষের চলাচলের পথের মধ্য দিয়ে নেওয়া ঠিক হয়নি।’
আরেক প্রত্যক্ষদশী সোহাগ বলেন ‘৩ মাস পূর্বেও এখানে আমার বাগিনা বিদ্যুৎ শকে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে, তখন আমরা অভিযোগ জানালে তারা লাইনটি সরিয়ে নিবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে মাসর পর মাস কিভাবে পল্লী বিদ্যুৎতের অসাধু কর্মকর্তারা অর্থের বিনিময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন এখানকার সাধারন মহলের।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ জি এম (ইএন্ডসি) আব্দুল মতিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি অবৈধ সংযোগ বলবনা কেননা প্রতি মাসে তাদের বিলের সাথে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা জরিমাণা করা হয় । তবে কর্মকর্তাদের যোগসাজোস রয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।’ (প্রতিকী ছবি)
চাঁদপুর টাইমস/ডিএইচ/জেআইজে-2015
নিয়মিত ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes