চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মনোনয়ন পাওয়া মাওলানা আবু সুফিয়ান আল কাদেরী দানের সম্পত্তি দিয়ে ট্রাস্ট গঠন করায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে গত শুক্রবার হাজীগঞ্জ পৌরসভার বদরপুর গাউছুল আজম জামে মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করতে গিয়ে মুসল্লিদের তোপের মুখে পড়েন মাওলানা আবু সুফিয়ান।
এ ঘটনা নিয়ে গত শনিবার দুপুরে মাওলানা আবু সুফিয়ানের ছেলে রহমত উল্ল্যাহ মসজিদের ইমামের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে বদরপুর এলাকার কয়েক মুসল্লির ধাওয়া খেয়ে আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় এলাকার শতাধিক মুসল্লি মসজিদের ইমামের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেন। এসব ঘটনায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন আবু সুফিয়ান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বদরপুর গাউছুল আজম জামে মসজিদের কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানায় থাকা অবস্থায় কীভাবে ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত হল তা জানতে চায় এলাকাবাসী। তিনি সুকৌশলে মসজিদের নামের সম্পত্তি দলিল করেন। ভুয়া দলিল করে আবু সুফিয়ান ‘আওলাদিয়া ট্রাস্ট’ গঠন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল বারেক জানান, তার বোন সৈয়দুন নেছা নিঃসন্তান থাকায় ১৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৯ শতাংশ মাদরাসার জন্য দান করেন। ৬ শতাংশ আবু সুফিয়ানের ভাই মোফাজ্জল হোসেনকে দান করেন সৈয়দুন নেছা।
তিনি আরও বলেন, ‘১৮ বছর ধরে মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে তিনি অর্থনৈতিক কোনো হিসাব দেননি। সম্প্রতি মসজিদ ও মাদরাসায় আমরা যারা সম্পত্তি দান করেছি, আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দেন আবু সুফিয়ান। ওই অভিযোগে তিনি সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। মসজিদ ও কমপ্লেক্স ছিল আলাদা। এখন তিনি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান দাবি করে আসছেন। এসব নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।’
এ বিষয়ে মাওলানা আবু সুফিয়ান আল কাদেরী বলেন, ‘আমার সকল কাগজপত্র ঠিক করা আছে। যারা এখন আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে, তারা আমার খুব আপনজন। তাদের সঙ্গে একটি কুচক্রী মহল জড়িত হয়ে প্রতিষ্ঠানের মানহানি করার পাঁয়তারা করছে। মাদরাসা ও মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে আমি ট্রাস্টটি গঠন করেছি। এখানে যারা সম্পত্তি দান করেছেন, তাদের দেয়া দলিলপত্র আমার কাছে সযত্নে আছে।’
স্টাফ করেসপন্ডেট
০৩ ডিসেম্বর,২০১৮