চাঁদপুরে চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ তিন মাসের জন্যে ১০ টাকা কেজির চাল বরাদ্দ দেয়া ৪ হাজার ৭ শ ৮০ মে.টন । জেলার ৮ উপজেলার ৮৯ ইউনিয়নে সুবিধা এর ভোগীর সংখ্যা রয়েছে ৫৩ হাজার ১শ’ ৫৬ জন। চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় নভেম্বর মাসে ১ম কিস্তিতে ১ হাজার ৫ শ ৯৪ মে.টন, অক্টোবর মাসে ১ হাজার ৫ শ ৯৪ মে.টন এবং নভেম্বর মাসে ৩য় কিস্তিতে ১ হাজার ৫ শ ৯১ মে.টন চাল ১০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে সরকারিভাবে বিক্রির নির্দেশ রয়েছে। জেলায় ১শ’২৬ জন ডিলারের মাধ্যমে স্ব স্ব উপজেলা ও ইউনিয়নের নির্দিষ্ট স্থান বা বাজারে এ চাল বিক্রির নির্দেশ রয়েছে। যা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নিম্ম আয়ের মানুষের আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১৭ সালে সারাদেশে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ প্রকল্পটি সরকার চালু করে । দেশের ৫টি জেলায় ইউনিসেফের সার্বিক সহায়তায় এ চালের সাথে পুষ্টি মান বজায় রাখারও একটি পাইলট প্রকল্প সম্পৃক্ত করা হয়। ঐ জেলাগুলো হলো: লক্ষ্মীপুর,গাজীপুর, নরসিংদী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ। এ জেলাগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিসেফ পুষ্টিমান প্রকল্প সংযোগ করে।
চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের এর প্রধান সহকারী মো.মোবারক হোসেন বলেন , ‘সাধারণ মানুষ ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরের চাল ১০ টাকায় পাচ্ছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছে । যার ফলে সরকারের এ প্রকল্পটি সাধারণ মানুষের কাছে বেশ গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করেছে। কিন্তু কোনো কোনো ই্উনিয়নে দলীয় লোকেরা ডিলারশীপ পাওয়ায় প্রকল্পটি কিছুটা হলেও প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। তাছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ সঠিকভাবে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তত না করায় সাধারণত যারা পাওয়ার তারা পাচ্ছে না ।’
আবদুল গনি
২৬ নভেম্বর ২০১৮,সোমবার