চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরত্বে সাব রেজিস্ট্রার অফিস ভবন নির্মাণ কেন্দ্র করে ভেন্ডার, দলিল লেখকসহ ভুক্তভোগীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মান কাজ চলমান থাকায় তাদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য, এান ও দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জনস্বার্থে অফিস স্থানান্তরের বিপক্ষে মত দিয়েছেন বলে ভেন্ডার, দলিল লেখকসহ ভুক্তভোগীরা জানান।
ভেন্ডার, দলিল লেখকসহ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মতলব সদর থেকে ৪ কিলোমিটার এবং বর্তমান সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে বরদিয়ার মোবারকদীতে সাব রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে।
জনগণের দূর্ভোগ সৃষ্টি করে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে এ কাজ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আলহাজ কাজী সুলতান। তিনি তার বিপুল পরিমান সম্পদ রক্ষায় ও সম্পদের গুরুত্ব তথা মূল্য বৃদ্ধির জন্যে নিজ বাড়ির পাশে সরকারের এ অফিস নির্মানে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উৎসাহিত করেন।
কাজী সুলতান সাব রেজিস্টার অফিসের জন্য জায়গা দান করায় এবং গণপূর্ত বিভাগ থেকে ভবন নির্মানের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় দলিল লেখক সমিতি ও ভেন্ডার সমিতির সাথে বিরোধ বাড়তে থাকে।
একপর্যায়ে দলিল লেখক সমিতির পক্ষে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে রিট করেন মোস্তফা মিয়া খোকন। পরে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়। সে নোটিশের জবাব না দিয়ে কাজী সুলতানের সহযোগিতায় ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার।
রিটকারী মোস্তফা মিয়া খোকন জানান, সকল ভেন্ডার, দলিল লেখকসহ এলাকার ভুক্তভোগী অনেক মানুষ চায় না অফিস স্থানান্তরিত হোক। জনগণের সুবিধার্থে বর্তমান অফিসের কাছে ৩৩ শতাংশ জায়গা দান করারও প্রস্তাব দিয়েছেন জনৈক হারুন অর রশীদ প্রধান। কিন্তু গণপুর্ত বিভাগ এ নিয়ে কোন ভুমিকা রাখছে না।
তিনি আরো জানান, হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মান কাজ অব্যাহত থাকায় জনসাধারণ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অপ্রীতিকর ঘটনার দায় সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur