চাঁদপুরে বালুবাহী বলগেটের দখলে রয়েছে পদ্মা-মেঘনা। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে বালুবাহী বলগেটের পাশাপাশি যাতায়ত করছে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো।
এসব বালুর বলগেট যত্রতত্র নদী সীমানায় চলাচল করায় ঘটছে দুর্ঘটনা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় যাত্রীবাহী লঞ্চের সাথে সংঘর্ষ ঘটছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে যাওয়ার পথে দেখা মিলে এসব চিত্র। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অগণিত বালুবাহী জাহাজ চলাচল করছে নদীতে। চাঁদপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ সীমানা পর্যন্ত মাঝ নদীতে বলগেটগুলোকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করতে দেখা যায়।
চাঁদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় এসব জাহাজের সাথে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশংঙ্খা নিয়ে লঞ্চগুলো চলাচল করছে।
যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ,এ সকল বালুবাহী জাহাজগুলো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ। তাই এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অর্থের বিনিয়মে নদীপথে চলাচল করার অনুমতি পাচ্ছে।
অপরদিকে বিভিন্ন অভিযানের সময় জাহাজগুলোকে জরিমানা করলেও তারা আবার একই পন্থায় নদীতে চলাচল করে। শীতকে সামনে রেখে এসব বালুর জাহাজগুলো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না আনলে ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ ও জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটতে পারে বড় ধরনের লঞ্চ দুর্ঘটনা।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সোনার তরী-৭ লঞ্চের চালক জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা সীমানায় অসংখ্য বালুর বলগেট থাকায় লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাতে চলাচল করার সময় এ ধরনের সমস্যা হয়। তারা যত্রতত্র নদীর মধ্যে বলগেট নোঙ্গর করে রাত্রি যাপনও করে। এর ফলে দুর্ঘটনার আশংঙ্কা আরো বেশি থাকে।’
তাঁর দাবি, রাতের বেলা পুরোপুরি বলগেট চলাচল বন্ধ করলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি- অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওইসব অবৈধ বলগেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
৯ অক্টোবর, ২০১৮ মঙ্গলবার
এজি/ডিএইচ